>ペ と করুণা নগর মধ্যে লুকাইয়া থাকিতে হইবে, কারণ এখন নগর পরিত্যাগ করিলে কৃষ্ণগুপ্ত অনায়াসে আমাকে বন্দী করিতে পারিবে ।” “কুকুটারামের গুপ্তগ্রহ কেমন স্থান ?” “চন্দ্ৰ তুমি পাগল হইয়াছ, পাটলিপুত্রের মহাপ্রতীক্ষার কি মুর্থ না নিৰ্ব্বোধ ? নগরে সমস্ত গুপ্তগুহই তাহার পরিচিত । দ্বিতীয় প্রহরের অধিক বিলম্ব নাই, এখনই সমস্ত প্রতীক্তাররক্ষী আমাদের সন্ধানে বাহির হইবে । চন্দ্র, আমাকে পুরুষ সাজিয়া থাকিতে হইবে।” “সে ত অধিক কথা নহে, লীলাস্থলে কতবার পুরুষ সাজিয়াছ। ইন্দ্রলেখা, তোমাকে পুরুষবেশে এখনও বড় সুন্দর দেখায়।” “রঙ্গের সময় নহে রসিকরাজ, তুমি একটা সন্ন্যাসীর বেশ আনিতে পার ?” “এখনই, কিন্তু ভিক্ষু সাজিলে হইত না ?” “মহাবিহারস্বামী হরিবল পলায়ন করিয়াছে শুনিলে কৃষ্ণগুপ্ত নগরের সমস্ত ভিক্ষু বন্দী করবে। তাহা হইবে না, ভাগবত সন্ন্যাসী সাজিতে হইবে। তুমি গৈরিকবক্স কিনিয়া আনিতে পার?” “পারি। তোমরা এইস্থানে লুকাও।” নগরোপকণ্ঠে একটি প্রাচীন পুষ্করিণীর তীরে বহু বেণুকুঞ্জ দেখা যাইতেছিল, চন্দ্রসেন তাহা দেখাইয়া দিয়া দ্রুতপদে নগরাভিমুখে অগ্রসর হইল। ইন্দ্রলেখা হরিবলের সহিত বেণুকুঞ্জের অন্ধকারে আশ্রয় গ্রহণ করিল। অৰ্দ্ধদও পরে দূরে বহু উল্কার উজ্জল আলোক দৃষ্ট হইল। তাহ দেখিয়া ইন্দ্রলেখা মহাবিহারস্বামীকে কহিল, “মহাবিহারস্বামী কি বুঝিতেছেন ?” মহাবিহারস্বামী তখন ভয়ে কঁাপিতেছিলেন, তিনি কম্পিতকণ্ঠে কহিলেন, “ইন্দ্ৰলেখা, এইবার মরিলাম! ইহারা নিশ্চয়ই মহাপ্রতীহারের সেনা, আমাদের সন্ধানে বাহির হইয়াছে।” “মরিতে হয়, তুমি মরিও, আমার এখন অনেক কাৰ্য্য আছে । জ্বাপেক্ষা করিয়া দেখ না, ইহার কি করে ?” উল্কাধারিগণ পথের দুইদিক অন্বেষণ করিতেছিল। দূরে আম্রপনসের উদ্যানে তাহারা প্রতি বৃক্ষ অনুসন্ধান করিতেছিল। তাহা দেখিয়া ইন্দ্রলেখ حم- ۲۶
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।