পঞ্চম পরিচ্ছেদ > ○ “ਭਂ তুমি পঞ্চশত অশ্বারোহী লইয়া বক্ষুতীরে যাইতে পার ? “পারি, কিন্তু মহানায়ক, সহস্রের পঞ্চশত লইয়া গেলে পঞ্চশত অবশিষ্ট থাকিবে । যদি হণসেনা নদীতীর্থ আক্রমণ করে তুহো হইলে পঞ্চশত সেনা লইয়া আপনি কি বাহুলীক রক্ষা করিতে পারিবেন?” “পারিব। ভানু, অদূরে বাহলী কনগর, নগরে শত সহস্ৰ সেনা আছে সংবাদ প্রেরণ করিলে প্রহরমধ্যে চক্ৰপালিত দশ সহস্ৰ অশ্বারোহী প্রেরণ করিতে পারবে। বালীক খরস্রোতা মুগভীর। শুনিয়াছি, এই নদীর্তী বনরাজ তুষাঙ্ক একদিন সহস্র সেনা লইয়া শিলিওকের শত সহস্ত্রের গতিরোধ করিয়াছিলেন। ভানু! বক্ষু বহু দূর ; যদি মহারাজপুত্র পরাজিত হইয়া থাকেন তহু হইলে পঞ্চশত সেনা ব্যতীত তুমি অগ্রসর বা পশ্চাৎপদ হইতে পারিবে না। তুমি এই মুহূৰ্ত্তেই যাত্রা কর।” ভানুমিত্র বংশধ্বনি করিলেন, মুহূৰ্ত্তমধ্যে পঞ্চশত সেনা অশ্বারোহণে বালীকার তুষার-শীতল জলরাশিতে অবতরণ করিল এবং একদও পরে সেই পঞ্চশতের ক্ষীণ কৃষ্ণরেখা পৰ্ব্বতগাত্রে মিশিয়া গেল । বাহুলীক সুরক্ষিত রাখিয়া লক্ষ সেনার সহিত গোবিন্দগুপ্ত ও স্কন্দগুপ্ত বক্ষুতীরে শিবির স্থাপন করিয়াছিলেন । গোবিন্দগুপ্ত স্থির করিয়াছিলেন যে, মহানদী বক্ষুর বক্ষে তুষাররাশি গলিত হইলে তিনি তৃণদেশ আক্রমণ করিবেন ; তখন অগ্নিগুপ্ত ও ভানুমিত্র বাহুলীক-শিবিরের পঞ্চসহস্র সেনা লইয়া অগ্রসর হইবেন । প্রাচীন গুপ্ত-সাম্রাজ্যের বৃদ্ধ সেনাপতি কুমারগুপ্তের আদেশ বিস্তৃত হন নাই, তিনি স্বয়ং বাহুলীক নদীতীরে সহস্র অশ্বারোহী লইয়া প্রতিদিন উপস্থিত থাকিতেন। একমাস পূৰ্ব্বে স্কন্দগুপ্ত ও গোবিন্দগুপ্ত বক্ষুতীরে যাত্রা করিাছেন, পক্ষাধিককাল মহারাজপুত্রের নিকট হইতে দুত আসে নাই। বৃদ্ধ মহাবলাধিকৃত বেদিন বন্ধুতীরে দৃত প্রেরণের সঙ্কল্প করিয়াছিলেন, সেইদিন রাহুলীকার পরপারে হ্ণসেনার নাসীর দর্শন দিয়াছিল ৷ ”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।