পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ >○中 “স্কন্দ, সত্যই আমি আত্মবিস্তৃত হইয়াছিলাম । পিতা পিতামহ পশ্চাৎপদ হইলেও, খুল্লতাত পশ্চাৎপদ হইতেন না। তবে যাহার অন্ধুলিহেলনে আর্য্যাবৰ্ত্ত ও দাক্ষিণাত্য কম্পিত হইত, র্যাহার পরিচালনে লক্ষ লক্ষ সেনা এই পাৰ্ব্বত্য উপত্যকায় উপস্থিত হইয়াছে, তিনি যে ক্ষুদ্র বাস্থলীকার ক্ষুদ্র উপত্যকায় সহস্ৰ অশ্বারোহীর সহিত ক্ষুদ্র যুদ্ধে আত্মবিসৰ্জ্জন দিয়াছেন, মন যে তাহা বিশ্বাস করিতে চাঙ্গে না স্কন্দ ?” গোবিন্দগুপ্তের আলিঙ্গনপাশমুক্ত হইয়া মাগধ যুবরাজ একলম্ফে মাগধ-অস্থি-মেধ-বসানিৰ্ম্মিত প্রাচীরের উপর আরোহ: করিয়া দেখিলেন যে, সহস্তে বদনে মহাবীর মহানায়ক অগ্নিগুপ্ত গরুড়লাঞ্ছিত কেতন বক্ষে ধারণ করিয়া মহানিদ্রায় অভিভূত আছেন। যুবরাজের ধৈর্যাচুতি হইল। অশ্রুঅন্ধ-নেত্ৰে মহাবীরের শতধা-বিদীর্ণ দেহ দেখিতে দেখিতে অশ্ররুদ্ধ কণ্ঠে স্কন্দগুপ্ত কহিলেন, “আৰ্য্য ! ইহাই আপনার যথাযোগ্য শয্যা, আপনার অনুস্থত পথচারণ করিয়া দিনান্তে যেন এই শ্যালাভ করি। আর্য্য, পঞ্চশত অশ্বারোহীর সহিত অমর যশোলাভ করিয়া অমরধামে গিয়াছ বটে, কিন্তু যে অষ্টমবর্ষীয় বালককে অসিধারণ করিতে শিখাইয়াছিলে, তাহার চির-প্রতিজ্ঞ যে ব্যর্থ করিয়া দিলে প্ৰভু ! তোমার রক্ষার্থ তোমার প্রদত্ত আসি যে শত্রুশোণিত পান করিল না প্রভু!” স্কন্দগুপ্ত এই বলিয়া অগ্নিগুপ্তের রুধিরাপ্লুত দেহ আলিঙ্গন করিলেন। তাহ দেখিয়া গোবিন্দগুপ্ত বিস্মিত হইয়া কহিলেন, “স্কন্দ, কি বলিতেছ ? পিতৃব্য কোথায় ?” যুবরাজ অশ্রুসিক্ত বদন উত্তোলন করিয়া কহিলেন, “পিতৃবা, পিতামহ আমার ক্রোড়ে।” সহসা স্কন্দগুপ্ত সেই শব-নিৰ্ম্মিত প্রাচীরের উপর দাড়াইয়া অগ্নিগুপ্তের দেহ উত্তোলন করিলেন । அ48 অসি কোষমুক্ত করিয়া তাহা শিরস্ত্রাণে স্পর্শ করাইলেন, সঙ্গে সঙ্গে সহস্ৰ সহস্ৰ, লক্ষ লক্ষ অসি কোষমুক্ত হইয়া মাগধ-সেনার শিরস্ত্রাণ চুম্বন করিল। তখন অসি সম্মুখে রাখিয়া