ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ כאא צ আপনি বলিয়াছিলেন যে, অদ্য কেহ মহাদেবীর কেশাগ্ৰ, স্পর্শ করিলে সাম্রাজ্যের সর্বনাশ হইবে, সেইজন্য আমি কাহাকেও মহাদেবীর অঙ্গস্পর্শ করিতে দিই নাই।” “তুই বানর কি না, সেইজন্য গাছে বসিয়া কলা খাইতেছিলি, সেই অবসরে ইন্দ্রলেখা আঁাসিয়া মহাদেবার কেশ লইয়া গিয়াছে ” “ইন্দ্রলেথ ?” “হা, চন্দ্রলেখা, চন্দ্রসেন, আর হরিবল ।” “দেবি, তাহারা ত সন্ন্যাসী ?” “তেমন সন্ন্যাসী গণিকা-পল্লীতে অনেক আছে । হরিবল এককালে প্রব্রজ ওহণ করিয়াছিল বটে কিন্তু ভিক্ষুণাম্পশে তাঙ্গর পতন হইয়াছে।” “দেবি, এখন উপায় ?” “তুই ত মঙ্গদেবীকে বলিয়া আসিয়াছিস যে তাহাদিগকে স্পশ করিবি না ?” “সত্যু।” “ওরে বানর, আমি কি মিথ্যা কঠিয়া থাকি ? হরিবল জিমরক্ষিত ও নাগাজুন বারাণসীতে মহাদেবীর কেশ লইয়া মারণযজ্ঞের অনুষ্ঠান করবে, সেইদিনই পাটলিপুত্রে মহাদেবীর মৃত্যু হবে, আর তুষ্ট বানর প্রসাদশার্যে বসিয়া কদলীভক্ষণ করিবি ।” “দেবি, কি করিব ?" “বলিলাম ত কলা খাইবি ।” “কোনও উপায় কি নাই ?” “না।” “সামাজ্যের কি দশা হইবে ?” “বিংশতিবর্য মধ্যে সমুদ্রগুপ্তের বিশাল সাম্রাজ্য বালুকরোশির দ্যায় উড়িয়া যাইবে । বেণ্ডাকন্ত আৰ্য্যপটে আরোহণ করিবে, তুই তখনও গাছে বসিয়া কল খাইবি ।” “দেবি, আমার পাপের কি প্রায়শ্চিত্ত নাই ?” “আছে। চন্দ্রগুপ্তের পবিত্র শোণিত তোর ধমনীতে প্রবাহিত । মেদিন উত্তরাপথ দক্ষিণাপথ-পরিত্রাতার রক্ষার জন্য সেই শোণিতে কলঙ্কিত পাটলিপুত্রের কলুষিত রাজপথ ধৌত হুইবে, সেইদিন যুবরাজ ভট্টারকপাদীয় মহাসাম্রাজ্যের মহাপ্ৰতীহার , কৃষ্ণগুপ্তের মহাপাতকের প্রায়শ্চিত্ত হইবে।” “দেবি, সেদিন কবে শ্রসিবে ?” “বিলম্ব আছে । চন্দ্রগুপ্তের পুত্র কুমার গুপ্ত, বেখাকন্তর কলুষিত পাদস্পর্শে পবিত্র আর্য্যপট্ট কলঙ্কিত করিবে, সহস্ৰ সহস্র মাগধসেন, লক্ষ লক্ষ আৰ্য নরনারী সুবিমল শোণিত
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।