দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ તેો কক্ষান্তরে দণ্ডধর ও দেবারিকগণ সভয়ে অবস্থান করিতেছিল, বিশাল অট্টালিকা নীরব নিস্তব্ধ। পরিচারক পরিচারিকাগণ নিঃশব্দ পাদবিক্ষেপে ইতস্ততঃ যাতায়াত করিতেছে, অন্তঃপুরে মহিলা রোরুদ্যমান শিশুর মুখে হস্ত দিয়া কক্ষমধ্যে পলায়ন করিতেছে। কয়েকদিন যাবৎ যুবরাজভট্টারকপাদায় মহামন্ত্রা দামোদর শম্মী কোনও রূপ শব্দ সহ করিতে পারিতেছেন না, তিনি কয়েকদিন যাবৎ আচার নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া একমনে চিন্তা কব্লিতেছেন । কিয়ৎক্ষণ পরে মগজুী করতালি-ধ্বনি করিলেন, জনৈক দেবারিক নতজানু ইয়া কমধ্যে প্রবেশ করিল। মহামন্ত্রী তাঙ্গকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “জালন্ধর হইতে কোনও দূত আসিয়াছে কি ?” দেবারিক কহিল, “না” । মহামন্ত্রী বিষণ্ণবদনে কতিলেন, "উত্তম, যাও"। দেবারিক প্রস্থান করিল। অৰ্দ্ধদণ্ড পরে মহামন্ত্রীর গৃতের সম্মুথে একখানি রথ আসিয়া দাড়াইল, নক অস্ত্রধারী প্রৌঢ় রথ হইতে অবতরণ করিয়া গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলেন। দেবারিক ও দণ্ডধরগণ তাঙ্গকে সম্মানে অভিবাদন করিয়া দ্বিতলের ক্ষুদ্র কক্ষে লইয়া গেল। তাহাকে দেখিয়া বৃদ্ধ মন্ত্রীর মুখমণ্ডল কিঞ্চিং প্রসন্ন হইল, তিনি কছিলেন, “অগ্নি, এত বিলম্ব হইল কেন ?” প্রৌঢ় বুদ্ধের পদধূলি গ্রহণ করিয়া কছিলেন, “দেব, মহাকুমার মহারাজ । পুত্ৰ আসিয়াছেন কি না সেই সংবাদ লইতেছিলাম। তিনি এখনও আসেন নাই?” বৃদ্ধ কহিলেন, “না অগ্নি, গোবিন্দ এখনও আসে নাই। সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্যের শেষ দশা উপস্থিত, তাহা না হইলে চন্দ্রগুপ্তের এক পুত্ৰ পট্টমহাদেবীকুে পদচ্যুত করিয়া তাহার পদে নটের কন্ত স্থাপন করিতে চাহে, আর দ্বিতীয় পুত্র সে সংবাদ শ্রবণ করিয়া নিশ্চেষ্ট্র হইয়া জালন্ধরে বসিয়া থাকে—” রোষে ও ক্ষোভে বৃদ্ধ সচিবের কণ্ঠ রুদ্ধ হইল। গুপ্ত-সাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি মহাবলাধিকৃত অগ্নিগুপ্ত শয্যায় উপবেশন করিলেন । ਯੋ
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।