Ᏹ8Ꮤ% করুণা প্রতি অমানুষিক অত্যাচার করিয়া সমগ্র বাহুলীক ও কপিশা অস্থির করিয়া তুলিয়াছিল । তাঙ্গাদিগের অত্যাচার অসহ্য হইয়া উঠিলে শক নরপতিগণ জালন্ধরে অগ্নি গুপ্তের সাহায্য ভিক্ষা করিয়াছিলেন । জাউল পতিগণ মনে করিয়াছিল যে, অগ্নি গুপ্ত ও গোবিন্দগুপ্তের সেনা শকরাজ । বাহিনীর ন্যায় তাহাদিগের রণভূঙ্কার শ্রবণ করিলে পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করিবে । এই ভাবিয়া পঞ্চলক্ষ হ্ণ বক্ষু পার হইয়া দক্ষিণ তীরে গোবিন্ধগুপ্ত ও স্কন্দগুপ্তের শিবির আক্রমণ করিয়াছিল । তাহারা ভাবিয়াছিল যে, মাগধ সেনা তাহাদিগকে দেখিলেই পলায়ন করিবে । পলায়নের পরিবর্তে যখন মাগধসেনা • যুদ্ধার্থ প্রস্তুত তচয় দাড়াইল, তখন জাউলপতিগণ বিস্মিত হইল। সুশিক্ষিত মাগধসেনা যখন অনায়াসে পঞ্চলক্ষ কুণ-অশ্বারোষ্ট্রর তীব্র আক্রমণবেগ সহ্য করিল, তখন তাতাদের বিস্ময় বদ্ধিত হইল। মাগধঅশ্বারোগী সেন যখন পরাজিত তৃণসেনার পশ্চাদ্ধাবন করিল, তখন সেই বিস্ময় ভয়ে পরিণত হইল। পরাজিত তৃণসেনা যখন বক্ষুতীরে গিয়ু দেখিল যে, স্কন্দগুপ্তের লক্ষ অশ্বারোঙ্গা প্রত্যাবর্তনের পথ রুদ্ধ করিয়াছে, তখন তাহারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্ত হইয়া পলায়ন করিল। বাহুলীকার্তারে সেই পঞ্চলক্ষের গতিরোধ করিতে গিয়া অগ্নিগুপ্ত আত্মবিসর্জন দিয়|ছিলেন। ভানুমিত্র যে পথে যুবরাজের সন্ধানে গিয়াছিলেন, হুণসেন। সে পথে অগ্রসর হয় নাই । তিনি তিনদিন পরে বাহুলীকাতীরে ফিরিয়া আসিয়া শুনিলেন যে, যুদ্ধ শেষ হইয়া গিয়াছে। মহারাজপুত্ৰ গোবিন্দগুপ্তের আদেশে ভানুমিত্র যুবরাজের সহিত পুরুষপুরে প্রতা বর্তনের আদেশ পাইলেন। বাহুলীকনগরে চক্রপালিতকে রাখিয়া সকলে কপিশায় প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । ভানুমিত্র ও স্কন্দগুপ্ত অগ্নিগুপ্তের ভস্মাবশেষ লইয়া কপিশা ও নগরইরি হইয়া পুরুষপুরে আসিলেন। ভানুমিত্রকে পুরুষপুরে রাখিয়া স্কন্দগুপ্ত পাটলিপুত্রে যাত্রা করিলেন । পথে প্রতিগ্রামে ও প্রতিনগরে মহোৎসব আরম্ভ হইল। মহাবীর অগ্নি
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।