সপ্তম পরিচ্ছেদ >8? গুপ্তের ভস্ম ও কুণবিজয়ী যুবরাজের অভ্যর্থনার জন্য আর্যাবৰ্ত্তবাসী উন্মত্ত হইয়া উঠিল। তক্ষশিলায়, জালন্ধরে, স্থান্ধীশ্বরে, মথুরায়, কান্তকুজে ও বারাণসীতে মহাসমারোঙ্গে যুবরাজ পুর-প্রবেশ করিলেন । পাটলি, পুত্রনগরে যেরূপ সমারোহ হইয়াছিল, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মালব ও সৌরাষ্ট্র বিজয়ের পর সেরূপ মহাসমারোহু আর কেহ দেখে নাই । পঞ্চক্রোশ দুরে নাগরিকগণ বিজয়-তোরণ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল, পঞ্চক্রোশ পথ পত্রপল্লব ও পুষ্পে সুসজ্জিত হইয়াছিল। নগরতোরণে সমাষ্ট্র স্বয়ং পুত্রের অভ্যর্থনার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন, প্রাসাদের তে রণদ্বারে পটুমতাদেবী শত শত কুলমহিলার সঙ্গিত কুণবিজয়ী পুত্রকে বরণ করিয়াছিলেন , গঙ্গদ্বারে অগ্নিগুপ্তের ভস্মাবশেষ গঙ্গাজলে নিক্ষেপ করিয়া ঘবরাজ পুর প্রবেশ করিয়াছিলেন । তাহার পর মহানগরে সপ্তাহব্যাপী সমারোহ চলিয়াছিল । যুবরাজ বর্য ও শরৎকাল পাটলিপুত্রে অতিবাহিত করিলেন । এষ্ট সময়ে মহাদেবী তাহার বিপাতের জন্য ব্যস্ত ইলেন, কিন্তু বৃদ্ধ রামগুপ্ত বিবাহের প্রস্তাবে বাধা দিয়া কহিলেন যে, হ্ণযুদ্ধ শেষ না হইলে যোদ্ধা সেনাপতির বিবাহ অসম্ভব। অবশেষে মহাদেবীর আগ্রহাতিশয্যে কুমারগুপ্ত বসন্তকালে যুবরাজের সহিত অরুণাদেবীর বিবাহ দিতে সম্মত তষ্টলেন । রামগুপ্তের মতানুসারে স্থির হইল যে, আগামী গ্রীষ্মে তৃণজাতি যদি যুদ্ধের আয়োজন না করে, তাহা হইলে বিবাহ হইবে । তদবধি অরুণাদেবী যুবরাজের সম্মুখে অব গুণ্ঠন মোচন করিতেন না। বসন্তের প্রারস্তে পাটলিপুত্রের প্রাসাদগীমায় মহাদেবী ধ্রুবস্বামিনীর উদ্যান অভিনব পুষ্পসজ্জায় সজ্জিত হইয়াছে। প্রভাতে অরুণোদয়ের ৰ্ব্বে কুমারী অরুণ মহাদেবীর পূজার জন্য পুষ্পাহরণ করিতেছেন— সদ্যস্নাত চম্পকবরণীর লাবণেrমনোরম উষ্ঠান উজ্জ্বল হইয়া উঠিয়াছে। অরুণা, জবাবুক্ষ হইতে রক্তজবা আহরণ করিতেছেনঃ লহসা মালতীবিতানের পশ্চাতে পদশ হইল। অরুণা মুখ ফিরাইয়া দেখিলেন, Af
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।