পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ >8ふ দেখ ।” অরুণা মুখ তুলিলেন, নয়নকোণের উৎস উথলিয়া উঠিল । যুবরাজ কহিলেন, “অরুণ, কঁাদিও না, আর একটি ਚਿਸ਼ੀ আছে ।” অরুণ রুদ্ধকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি যুবরাজ ?” “তোমার হস্তের একটি অঙ্গুরীয়ক ’আমার অঙ্গুলীতে পরাইয়া দাও, যদি মরি—” ধীরে ধীরে যুবরাজের দিকে অগ্রসর হইয়া কুসুমপেলৰ অঙ্গুলী হইতে হীরক খচিত অঙ্গুরী লইয়া অরুণাদেবী তাহা স্কন্দগুপ্তের অঙ্গুলীতে পরাইয়া দিলেন । যুবরাজ কছিলেন, “অরুণ, আমার জন্য অপেক্ষা করিবে ?” সহসা মস্তকের অবগুণ্ঠন সরিয়া গেল—অশ্রুভারাক্রান্ত নয়নদ্বয় উজ্জল হইয়া উঠিল, অরুণা কহিলেন, “যুবরাজ, তোমাকে যখন স্পর্শ করিয়াছি, তখন হইতে তুমি আমার দেবতা ; অপেক্ষা করিব,—ইহুলোকে, পরলোকে, সৰ্ব্বত্র।” ধীর পাদবিক্ষেপে যুবরাজ অন্তঃপুরের দিকে ফিরিলেন । তাতার মূৰ্ত্তি নয়নপথের অন্তরাল হইলে মালতীবিতানের যে ধূলায় তিনি দাড়াইয়াছিলেন, তাহা আলিঙ্গন করিয়া সিক্তকেশে চম্পকবরণী সুবতী লুটাইয়া পড়িল । দিবসের দ্বিতীয় প্রহরাদ্ধ অতীত হইলে প্রাসাদের ও নগরের তোরণে তোরণে মঙ্গলবাদ্য বাজিয়া উঠিল, কারণ বুঝিতে না পারিয়া পাটলিপুত্রিক নাগরিকগণ গৃহত্যাগ করিয়া পথে বাহির হইল। যাহারা প্রাসাদের নিকটে বাস করিত তাহারা দেখিল যে, তৃতীয় চত্বরের প্রাঙ্গণে পঞ্চসহস্র মালবদেশীয় অশ্বারোহী যাত্রার জন্ত সজ্জিত হইয়াছে । নাগরিকগণের মধ্যে যাহারা তাহাদিগকে চিনিত, তাহারা কহিল যে, ইহারা যুবরাজের শরীররক্ষী সেনা। মঙ্গলবষ্ঠ থামিল না দেখিয়া, দলে দলে নাগরিকগণ প্রাসাদের নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইল, ক্রমে প্রাসাদের চতুর্দিকের রাজপথ ঘন,জনতায় পরিপূর্ণ হইয়া গেল। যাহার তৃতীয়