পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qや করুণা আসিয়া রাজপথ অধিকার করিল। তখন অশ্বথতল হইতে সেই গৈরিকপরিহিতা tig তোরণের নিকটে আসিয়া ডাকিল, “চন্দ্রসেন, ও চন্দ্রসেন ! বলি হতভাগা এমন সময় কোথায় গিয়াছিস্ ?” বৃক্ষের উপর হইতে চন্দ্রসেন কহিল, “অন্তরাল হইতে তোমার কন্যা-জামাতার মিলন দেখিতেছিলাম ।” “শাস্ত্ৰ নামিয়া আয় ” “ব্যস্ত কেন ?” “কাপালিক কোথায় গেল ?” “অনেকক্ষণ চলিয়া গিয়াছে।” চন্দ্রসেন নামিয়া আসিল, তখন ইন্দ্রলেখা কহিল, “দেখিলি ত, কাহার বুদ্ধি বড়, বুড়া শিয়ালের না আমার ?” “ইন্দ্রলেখে, আমি ত চিরদিন বলিতেছি যে, তুমি যদি পুরুষ হইতে তাহা হইলে কুমারগুপ্তের কাণ ধরিয়া আর্য্যপট্ট হইতে নামাইয়া দিয়া সসাগর ধরণীর অধীশ্বর হইতে ?” “দেখ, যদি ফন্তুযশকে দেখিয়া না মজিতাম, তাহা হইলে কুমারগুপ্তকে অধিকদিন সিংহাসনে বসিতে হইত না।” “সে আবার কি কথা ?” “তোমার মুণ্ড আর তোমার মাথা । তোর মত মূৰ্থ আর কখনও ব্রাহ্মণের ঘরে জন্মে নাই । যদি মহারাজ-পুত্রকে বশ করিতে পারিতাম, তাহা হইলে আমিই এতদিন পট্টমহাদেবী হইতে পারিতাম।” “আর আমার অদৃষ্টে কি হইত ?” “শোণ্ডিকবীথির সম্মার্জনী।” চন্দ্রসেন হাসিয়া উঠিল, ইন্দ্রলেখা পুনরায় কহিল, “দেখ ভাই, বড়ই সুবিধা হইয়াছে, বুড়া শিয়াল জলন্ধরে, গোবিন্দগুপ্ত আর স্কন্দ গুপ্ত পুরুষপুরে। অনন্ত পাটলিপুত্রে যাইতেছে, তাহার গতিরোধ করিবার কেহই নাই।” “ইন্দ্রলেখে, আজি বড় আনন্দের দিন, কল্য আমি কুমারগুপ্তের শ্বশুর হইব, আজি এক কলস, কাদম্ব ব্যয় করিয়া ফেল।” “সারাদিন উপবাস করিয়া আমারও কণ্ঠ শুষ্ক হইয়াছে, কাপালিককে ডাকিয়া আন আর ভাণ্ডার হইতে একটা কলস লইয়া আয় ।”