ᎼᏔᏱ é করুণা গৌড়ের উদ্যানে সরোবর তীরে সেই রাত্রির কথা মনে পড়িল । ঠাকুরাণি, তুমি যখন গৌড়ে ফিরিবে, তখন আর একবার জ্যোৎস্নাধবল নিশিতে সরোবরের স্বচ্ছ জলে রক্ত-অলক্তকরঞ্জিত চরণ দুইখানি ডুবাইয়া ভালুকে ভীমপলশ্রী শুনাইও ।” ভানু । আমি তোমাকে ডাকিয়া লইব । ঋষভ । আমি কি আর কখনও গৌড়ে যাইব ? করুণা। কেন যাইবে না ঠাকুর ? ঋষভ ৷ কাপালিক বলিয়াছে । ভানু । তবে আর রোহিণীকে দেখিতে পাইবে না ? ঋষভ | রহস্য রাখ ভানু, কাপালিক বলিয়াছে—তুমি ফিরিবে করুণা ফিরিবে, কেবল আমি আর গৌড়দেশ দেখিতে পাইব না । এই সময়ে অলিন্দের প্রান্তে দাড়াইয়া একজন পরিচারিক কহিল, “দেব, যুবরাজ আপনাকে স্মরণ করিয়াছেন।” ভানুমিত্র চমকিত হইয়৷ উঠিয়া দাড়াইলেন এবং কহিলেন, “যুবরাজ ?” “যুবরাজ এইমাত্র পাটলিপুত্র হইতে আসিয়াছেন।” “তিনি কোথায় ?” “তোরণে—অশ্বপুষ্ঠে --” ভানুমিত্র দ্রুতপদে অন্তঃপুর ত্যাগ করিলেন। তখন করুণা ঋষভদেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুর, কাপালিক কি আমার সম্বন্ধে কিছু বলিয়াছিল ?” “বলিয়াছিল যে, তোমরা দেশে ফিরিবে ।” “কবে ?” “ভানু শীঘ্রই ফিরিবে, কিন্তু তুমি বহুদিন পরে ফিরিবে।” “আমি বহুদিন পরে এক কোথায় থাকিব ঠাকুর ?” “কাপালিক ত তাহ বলে নাই ।” এই সময়ে স্কন্দগুপ্তের সহিত ভানুমিত্র অলিন্দে প্রবেশ করিলেন, করুণা যুবরাজকে প্রণাম করিলেন। স্কলগুপ্ত কহিলেন, “করুণ, আমরা এখনই যাত্রা করিব, পুনরায় যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছে, ভানুও আমার সহিত যাইবে।”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।