নবম পরিচ্ছেদ כט מי সংসা করুণার হৃদয় কম্পিত হইল। কাপালিক বলিয়াছে, স্বামী শীঘ্রই দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবেন, কিন্তু তাহার প্রত্যাবৰ্ত্তনের বহু বিলম্ব আছে । কেন ? হয় ত রাজকাৰ্য্যে যুবরাজের সহিত তাহাকে পাটলিপুত্র যাইতে হুইবে । না, পাটলিপুত্র ত তাঙ্গর' স্বদেশ নহে, পাটলিপুত্র ত গৌড় নহে ? তবে তিনি কোথায় যাইবেন ? আমাকে কোথায় রাখিয়া যাইবেন । পুরুষপুর, বহুদূর ; একাকিনী কোথায় থাকিব, কাঙ্গর আশ্রয়ে থাকিব ? কতদিন দশন পাইব না। কেবল দর্শনের জন্য—দিনাস্তে মাসান্তে একবার মুখখানি দেখিবার জন্য পাটলিপুত্র, গোড়; প্রাসাদ, সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়া বিদেশে আসিয়াছি । কোথায় যাইব, একাকিনী কেমন করিয়া থাকিব ? করুণার ফুল্লারবিন্দ তুল্য মুখখানি শুকাইয় গেল, সমস্ত শরীর স্বেদাপ্ল ত হইল। তাহ দেপিয়া বিস্মিত ইয়া স্কন্দ গুপ্ত জিজ্ঞাসা করিলেন, “করুণ, তোর কি হইল ?” করুণা নিরুত্তর । যুবরাজ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “করুণ, তোমার শরীর কি অসুস্থ হইয়াছে ?” বহুকষ্ট্রে শুষ্ককণ্ঠে করুণা কছিলেন, “না।” দুবরাজ বুঝিলেন এবং কছিলেন, “তুমি ভালুর যাত্রার উদ্যোগ কর, আমার প্রয়োজন আছে নগরে ঘাইব” । স্কন্দ গুপ্ত ঋষভের হস্ত ধরিয়া অলিন্দ ত্যাগ করিলেন । তখন করুণ ভানুমিত্রের তস্তধারণ করিয়া কঠিলেন, “দেবতা, উপবেশন কর, একবার দেখি ; লজ্জায় কখনও নয়ন ভরিয়া-হৃদয় ভরিয়া দেপি নাই । একবার দেখি, বহুদিন দেখিতে পাইব না।” ভাতুমিত্র বিস্মিত হুইয়া কছিলেন, “কেন করুণ ?” “কাপালিক বলিয়াছে ” “কি বলিয়াছে করুণ ?” “বলিয়াছে, তুমি শীঘ্রই দেশে ফিরিবে কিন্তু আমার প্রত্যাবর্তনের বহু বিলম্ব আছে।” “কাপালিকের কথায় বিশ্বাস করিলে জগৎ চলিবে না ” “দেবতা, অনেকদিন আমার মন বলিতেছে তুমি আমাকে ছাড়িয়া দূরে যাইবে, দুরে থাকিবে –তুমি আমার নিকটে আসিতে চাচিলে আসিতে পরিবে ন –আমি তোমার নিকটে থাকিলেও তোমার দর্শন পাইব না । 經 > b ... '
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।