একাদশ পরিচ্ছেদ >\とふ হইলে ইন্দ্ৰলেখা আসিয়া তাঙ্গকে শূলে দিবে।” অক্ষয়নাগ বাধ্য হইয়া বিপণীর দ্বার মুক্ত রাপিল। অৰ্দ্ধদও পরে একজন প্রতাঙ্গর আসিল, স্বরামত্ত নাগরিকগণ তাহাকে প্রচার করিয়া দূর করিয়া দিল । নগরের তোরণে তোরণে মঙ্গলবাদ্য • আরব্ধ হইলে শোণ্ডিক বীথি সহসা শত শত উল্কার উজ্জল আলোকে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল । সহস্ৰ অশ্বারোঙ্গ-পরিবেষ্টিত, চতুরখবাহিত একখানি রথ অক্ষয়নাগের বিপণীর সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । আলোক দেখিয়া অক্ষয়নাগ ও তাহার-অতিথিগণ তৃত্বারে ছুটিয়া আসিল, তখন রথ হইতে একজন গেীরদর্ণ যুবক দুইজন অশ্বারোচীর সাহায্যে অবতরণ করিতেছে । সে অক্ষয়নাগকে দেখিয়া বলিয়া উঠিল, “অক্ষয়, বড় তৃষ্ণ ” বৃদ্ধ শোণ্ডিক ও তাঙ্গর অতিথিগণ সকলে এক এক পাত্র তীব্র কাদম্ব নবাগত অতিথির মুখের নিকটে ধরিল। দুই এক পাত্র তাহার উদরস্থ হইল, অবশিষ্ট তাঙ্গর বহুমূল্য কোষেয় বসন সুগন্ধযুক্ত করিল। 旁 তৃতীয় প্রহরের শেষভাগে অক্ষয়নাগের অতিথিগঃ চেতন হারাষ্টয়া ধরাশয্যা গ্রহণ করিল। তখন নবাগত অতিথি জনাৰ্দ্দনকে কঠিল, “জনাৰ্দ্দন, চল প্রাসাদে যাই ।” জনাদন মত্ত হইলেও তাতার কিঞ্চিৎ জ্ঞান ছিল, সে বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “প্রাসাদে যাইবি কেন ?” “শয়ন করিতে ” “তাহ হইলে কি কল্য কেই জীবিত থাকিবে ?” “মারিবে কে ?” “কেন, মঙ্গপ্রতাহার ?” “কল্য প্রভাতে তাঙ্গকে দগ্ধ করিব।” “সম্রাটু ?” “সে ত আমার কুকুর ” “চন্দ্রসেন, বিবেচনা করিয়া দেখ ?” “অনেক বিবেচনা করিয়াছি, তুই চল।” অনেকে মত্ততাপ্রযুক্ত ইহাদের কথোপকথন শুনিতে পায় নাই, তাহারা জড়িতকণ্ঠে জিজ্ঞাস করিল, “কোথায় যাইব ?” চন্দ্রসেন কহিল, “প্রাসাদে ।” যে কয়জনের চলচ্ছক্তি ছিল, তাহারা কম্পিতপদে উঠিয়া দাড়াইয়া জড়িতকণ্ঠে জয়ধ্বনি করিল। অক্ষয়নাগের অতিথিগণ
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।