একাদশ পরিচ্ছেদ > ዓ > তাঙ্গকে দূরে সরিয়া যাইতে আদেশ করিল। বৃদ্ধ তাহা শুনিয়া ও শবের শিয়র পরিত্যাগ করিলেন না, তাঙ্গ দেখিয়া অশ্বারোহী তাঁহার গলদেশে ক্তস্ত প্রদানের উদ্যোগ করিল। তথন সহসা আর একজন অশ্বারোহী তাঙ্গর সঙ্গীর হস্ত ধারণ করিয়া কঠিল, “করিতেছিস্ কি ?” প্রথম অশ্বারোগ বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কেন ?” “চিনিতে পারিতেছিস না ?” “না ” “মঙ্গদগুনায়ক।” “কে ? রামগুপ্ত ?” “ছা ।” তখন অশ্বারোঙ্গদ্বয় অসি কোষমুক্ত করিয়া কুমারপাদীয় বৃদ্ধ মহাদগুনায়ককে অভিবাদন করিল, বৃদ্ধের শীর্ণ গণ্ডস্থল বতিয়া দুই বিন্দু অশ পতিত হইল। রুদ্ধকণ্ঠে বুদ্ধ জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমরা কে ?” প্রথমু অশ্বারোষ্টা কহিল, “আমরা মুদগগিরিগুল্মের অশ্বারোহী।” “এখন কি জন্ত আসিয়াছ ?” “প্ৰভু চন্দ্রসেন বারাণসী হইতে আসিয়াছেন, আমরা তাঙ্গর সঠিত আসিয়াছি।” “কাতার আদেশে ?” “মহারাজাধিরাজের ” “বন্ধুগণ, তোমরা গুপ্ত-সমাজ্যের সেনা, পুরুষামুক্রমে সমুদ্রগুপ্ত, চন্দ্র গুপ্ত ও কুমারগুপ্তের অন্নে প্রতিপালিত । সম্মুখে পটুমহাদেবীর দেহ, চন্দ্র গুপ্তের বধূ, কুমারগুপ্তের পত্নী ও স্কন্দগুপ্তের মাত৷ সামান্তা রমণীর দ্যায় গঙ্গায় চলিয়াছেন । দেখি ও চন্দ্রলেখার জার যেন তাহার অবমাননা না করে । অদ্য বুদ্ধ রাম গুপ্ত ব্যতীত বিশাল গুপ্তসাম্রাজ্যে আর কেহ নাই যে, স্বর্গগতা পট্টমহাদেবীর শবের শিয়রে দাড়াইয়া থাকে ।” বৃদ্ধের কণ্ঠরুদ্ধ হইল। অশ্বারোঈদ্বর অসি কোষমুক্ত করিয়া শবের পাশ্বে দাড়াইল। ধীরে ধীরে উল্কাধারী সহস্ৰ অশ্বারোহী তোরণের উভয় পাশ্বে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দাড়াইলু । মৃদুস্বরে স্কন্দ গুপ্তের ও পটুমঙ্গদেবীর নাম উচ্চারিত হইল ; বহু বৃদ্ধ সৈন্যর গণ্ডস্থল বঙ্গিয় অশ্রুধারা প্রবাহিত হইল । তাহারা সাম্রাজ্যের পটুমহাদেবীকে চিনিত । এই সময়ে রথ আসিয়া তোরণের সম্মুখে দাড়াইল, সহসা তোরণের পাশ্বস্থিত অন্ধকারময়
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।