N R করুণা গোবিন্দ আসে নাই।” “এখনও ত সময় আছে।” “স্কন্দ বারাণসী পর্য্যন্ত দূত পঠাইয়াছে, দূত এখনও ফিরে নাই ।” “অষ্ঠ শেষ দিন, কলা আসিলে বোধ হয় কোনও ফল হইবে না।” “না। কলা চন্দ্র গুপ্তের বৃদ্ধ পুত্র যুবক সাজিবে, সুতরাং তাহার সাক্ষাং পাওয়া সম্ভব নতে। সন্ধ্যাকালে বিবাহ, রজনীর প্রথম প্রস্তরে উৎসব । উৎসবে যে না যাইবে পরদিন তাহাকে শ্ৰীপট্ট ফিরাইয়া দিতে হইবে।” “ইত কি মহারাজাধিরাজের আদেশ ?” “আদেশ এখনও স্বাক্ষরিত হয় নাই।” “ইন্স প্রচারের জন্ত কি মঙ্গরাজাধিরাজ আপনাকে প্রস্তুত করিতে আদেশ করিয়াছেন ?” “না, আদেশ হইবে জানিয়া আমি অধ্যক্ষগণকে প্রচারের জন্য প্রস্তুত হইতে আদেশ দিয়াছি।” “পিতৃবা, ক্ষোভে আরও কতকগুলি আদেশ করিয়াছেন ?” “বিদ্রুপ করিও না রাম। আরও একটি আদেশ করিয়াছি।” “কি ?” “সম্রাটের জন্য কতকগুলি বীণা ক্রয় করিয়াছি।” স্কন্দগুপ্ত হাসির বলিয়া উঠিলেন, “পিতামহ কি সামাজ্যের কার্য ছাড়িয়া বীণাবাদনে দিন কাটাইবেন ?” বৃদ্ধ মহামন্ত্রী স্নান হাসি হাসিয়া কহিলেন, “ভাই, কেবল আমি নহি, অনেক মহানায়ক, মহামাগুলিককে বীণা বাজাইয়া দিনপাত করিতে হইবে।” রাম—দেব, বীণা ক্রয়ের কারণ আমিও বুঝিলাম না। অগ্নিগুপ্ত—ঠাকুর কি করিতেছেন ? দামোদর—যথাসময়ে সকল কথা বুঝিতে পারিবে। কে আছিস্ ? জনৈক দৌবারিক কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিল। বৃদ্ধ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সন্ধার কত বিলম্ব আছে ?” দৌবারিক কহিল, “প্রায় দুই দণ্ড ।” “উত্তম, যাও।” দেীবারিক স্কন্দগুপ্তকে সম্বোধন করিয়া কহিল, “মহারাজ, একজন ধাবৃত সৈনিক আপনার জন্য পথে অপেক্ষা করিতেছেন । আমি তাহাকে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।