ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ >")ふ মদ্যপ চমকিত হইয়া উঠিয়া বসিল এবং জিজ্ঞাসা করিল, “কে রে?” দণ্ডধর ভয়ে দূরে সরিয়া গিয়া কহিল, “প্রভূ, আমি প্রাসাদের একজন দণ্ডধর, মহারাজাধিরাজ আপনাকে স্মরণ করিয়াছেন।” “কেন ?” “তাতা বলিতে পারি না।” “আমি যাইতে পারিব না।” দণ্ডধর কক্ষ ত্যাগ করিলে সবক ডাকিল, “ওরে, শোন ।” দণ্ডধর পুনরার কক্ষে প্রবেশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “প্ৰভু, কি আদেশ করিতেছেন ?” “কাদম্ব আনিতে পারিস ?” “চেষ্টা করিয়া দেখি" দগুধর কক্ষ ত্যাগ করিয়া মুহূৰ্ত্তনধ্যে চৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত সুরাপাত্ৰ লইয়া ফিরিয়া আসিল । ঘৰক তাঙ্গকে কঠিল, “তুই চলিয়া যা, কুমারগুপ্তকে বলিস, আমার শরীর অসুস্থ, কল্য বা পরশ্ব সভায় যাইব ।” দণ্ডধর অভিবাদন করিয়া পুনর্বার কক্ষ ত্যাগ করিল। তখন তৃষ্ণান্ত মদ্যপ চৰ্ম্মপাত্র হইতে আকণ্ঠ মদ্যপান করিল, তার সুরার প্রভাবে তাহার সৰ্ব্বাঙ্গে বিপ্লাং প্রবাহিত হইল, তাঙ্গর মস্তক ঘূর্ণিত হইল। সে কম্পিত পদে কক্ষত্যাগ করিয়া অলিন্দে আসিল । পট্টনঙ্গদেবীর মৃত্যুর পূৰ্ব্বে যে অলিন্দ প্রভাত হইতে রজনীর দ্বিতীয় প্রস্তর পয্যন্ত জনপূর্ণ থাকিত, অদ্য তাহা জনশূন্ত । গুপ্তকুললক্ষ্মীর প্রাসাদ-ত্যাগকাল হইতে গুপ্ত বংশীয় সম্রাটের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব প্রাসাদ সীমা পরিত্যাগ করিয়া ছিল । যুবক অস্থির চরণে অলিন্দের শেষে আসিয়া দাড়াইল । অলিন্দের শেষে দাড়াইয়া সে যাহা দেখিল, তাঙ্গতে তাহার মুস্তক পুনরায় ঘূর্ণিত হইল । অলিন্দশেষে শুভ্ৰমৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত মৰ্ম্মরাচ্ছাদিত গুহের প্রাচীরে এক যোদ্ধার চিত্র লম্বিত ছিল । আলেখ্যে বৰ্ম্মাবৃত যোদ্ধা পৰ্ব্বতের সাহুদেশে শবস্তুপের সম্মুখে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ স্বন্ধে লইয়া দাড়াইয়া আছে। তাহার সম্মুখে কামিনীদামসদৃশ গৌরবর্ণ অনিন্দাসুন্দরকাস্তি এক অপরূপ সুন্দরী পূজায় উপবিষ্ট। সুন্দরী সদ্যস্নাত, পরিধানে বহুমূল্য অংশুক
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।