প্রথম পরিচ্ছেদ পুরস্কার প্রভাতে বাহুলীকা-নগর-প্রাকারের বহির্দেশে ক্ষীণকায়ু বাহুলীকতীরে,-তরুতলে যুবরাজভট্টারক স্কন্দগুপ্ত বন্ধুবৰ্গ পরিবৃত হইয়া কথালাপে মগ্ন ছিলেন। যৌবনে ছশ্চিন্তা সহসা কাহাকেও অভিভূত কঃি তে পারে না, গোবিন্দ গুপ্তের বাহুলীক পরিত্যাগ ও পাটলিপুত্রের সংবাদাভাব, যুবরাজ ও র্তাহার সঙ্গিগণকে দীর্ঘকাল চিন্তান্বিত করিয়া রাখিতে পারে নাই। তরুণ যুবরাজ ও তাহাৰু বন্ধুবৰ্গ নিশ্চিন্তমনে বিশ্রম্ভালপে মগ্ন ছিলেন। নদীতীর অবলম্বন করিয়ু জনৈক প্রৌঢ় ভিক্ষুক তাহাদিগের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছিল, তাহ কেহই লক্ষ্য করেন নাই। ভিক্ষুক ধীরে ধীরে তাহাদিগের নিকটে আসিয়া মাগধী ভাষায় কহিল, “নারায়ণ মঙ্গল করুন, কিঞ্চিং ভিক্ষা দিবেন কি ?” যুবরাজ ও র্তাহার সঙ্গিগণ চমকিত হইয়া ফিরিয়া দেখিলেন, ভস্মাচ্ছাদিত অগ্নির ন্যায় জনৈক বলিষ্ঠদেহ ভিক্ষুক দাড়াইয়া আছে। স্কন্দগুপ্ত তাঙ্গকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি মগধবাসী ?” ভিক্ষুক কহিল, “ই প্রভু।” “তুমি বাহুলীকে আসিয়াছ কেন?” “আমি ভিক্ষাজীবী, ভিক্ষার্থ দেশে দেশে ঘুরিয়া বেড়াই ” “কতদিন মগধ পরিত্যাগ করিয়াছ ?" "তিন মাস-না তিন বৎসর পূৰ্ব্বে | . “এখন কোথায় যাইবে ?” “যেখানে ভিক্ষ মিলিবে ” “তুমি কি জাতি ?” “ক্ষত্রির ” “ক্ষত্রিয় হইয়া দেহে বল থাকিতে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিয়াছ কেন ?” “কি করিব ?
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।