ᎼᎽᏔ% করুণা উদরান্নের জন্ত ভিক্ষা করিতে বাধ্য হইয়াছি ” “অস্ত্ৰধারণ করিতে জান ?” “জানি।” “সাম্রাজ্যের সেনাদলে প্রবেশ করিবে ?” আনন্দে ভিক্ষুকের মুখ উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, সে সহান্তবদনে কহিল, “এখনই ।” যুবরাজ, চক্রপালিতের স্কন্ধ হইতে ধনু গ্রহণ করিয়া, ভিক্ষুকের হস্তে দিলেন, সে অনায়াসে বামহস্তে জ্যা রোপণ করিল। স্বরাজ তাঙ্গ দেখিয়া কছিলেন, “পরপারে একটি বক বসিয়া আছে উতাকে মারিতে পার ?” ভিক্ষুক চক্রপালিতের নিকট হইতে শর গ্রহণ করিয়া পঞ্চশত হস্ত দূরে অবস্থিত বকের শিরশ্চেদন করিল। তাঙ্গ দেখিয়া স্কন্দ গুপ্ত কছিলেন, “আর অস্ত্র-পরীক্ষায় প্রয়োজন নাই, তুমি অশ্বারোহণ করিতে জান ?” ভিক্ষুক কঠিল, “জানি।” “তোমাকে অদ্য হইতে আমার শরীররক্ষী নিযুক্ত করিলাম”। ভিক্ষুক যষ্টি মস্তকে স্পর্শ করিয়া সামরিক প্রথায় অভিবাদন করিল । তাত দেখিয়া বিস্মিত হইয়া ভানুমিত্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভিক্ষুক, তুমি কি পূৰ্ব্বে সৈনিক ছিলে ?” “ছিলাম ” “কোথায়?” “দেশে, পাটলিপুত্রিক নবম গুন্মে।” “ত্যাগ করিয়াছিলে কেন?” “কিছুদিন গৃহী হইয়াছিলাম।” এই সময়ে নদীতীরে পদশব্দ শ্রুত হইল, সকলে চাহিয়া দেখিলেন একজন দণ্ডধর রজতনিৰ্ম্মিত আধারে একটি গুরুভার পদার্থ লইয়া তাহাদিগের দিকে অগ্রসর হইতেছে। দণ্ডধর নিকটে আসিয়া যুবরাজকে কহিল, “দেব, পাটলিপুত্র হইতে পরমভট্টারক পরমেশ্বর পরমবৈষ্ণব মঙ্গরাজাধিরাজের মহামুদ্রাঙ্কিত পত্র আপনার নিকটে প্রেরিত হইয়াছে।” দওধরের বাক্য শেষ হইবার পূৰ্ব্বে যুবরাজ ও র্তাহার সঙ্গিগণ তৃণাসন পরিত্যাগ করিলেন এবং অসি কোষমুক্ত করিয়া মস্তকে স্পর্শ করাইলেন । তখন দগুধর বৃহৎ কাঠফলকে আবদ্ধ কৌষেয়-বস্ত্রাবৃত পত্র যুবরাজের হস্তে প্রদান করিল। যুবরাজ আবরণ মোচন করিয়া পত্র পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেন। মাগধ-সেনানিগণ উন্মুক্ত তরবারি-হস্তে পাষাণ
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।