পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ -+++>:: కఫీ-థథ ৰজ মহা প্রতীহার কৃষ্ণগুপ্তের বাহল কাগমনের মাসদ্বয় পরে একদিন প্রভাতে পাটলিপুত্রে দণ্ডধর ও দেবারিকগণ সভামণ্ডপে বীণার ঝঙ্কার শুনিয়া বিস্মিত হইয় গেল । তাঙ্গর সভয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করিয়া দেখিল, সিংহাসনের সম্মুখে, চতুষ্পাশ্বে এবং মণ্ডপের প্রতি মুখাসনের উপরে এক একটি সুন্দর বীণা রক্ষিত হইয়াছে। আর্য্যপট্রের দক্ষিণপাশ্বে মৎস্তদেশীয় ধবল মৰ্ম্মর-বেদিকায় উপবিষ্ট হইয়া এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ নিবিষ্টচিত্তে বীণা-বাদন করিতেছিলেন। স্বৰ্গীয়া পট্টমহাদেবীর তনুত্যাগের পরে পাটলিপুত্রের রাজপ্রাসাদে বহু পরিবর্তন হইয়াছিল, পুরাতন ভূতাগণ মর্যাদাচানির ভয়ে এবং উৎপীড়নের আশঙ্কায় কার্য্য ত্যাগ করিয়া রাজধানী পরিত্যাগ করিয়াছিল। দুই একজন পুরাতন দেীবারিক ও দ গুধর তখনও পুরাতন প্রভুর মায়া ত্যাগ করিতে পারে নাই। তাহারা বৃদ্ধকে চিনিল এবং সসম্মানে অভিবাদন করিয়া আত্মগোপন করিল। নূতন দণ্ডধর ও দেীবারিকগণ তাহাদিগকে বুদ্ধের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিল, পুরাতন ভৃত্যগণ অফুটস্বরে কহিল, “যুবরাজ ভট্টারকপাদায় মহামণ্ডলেশ্বর মহানায়ক মহামন্ত্রী দামোদর শম্মদেব ।” প্রথম প্রহর অতীত হইল তথাপি সভামণ্ডপে কেহ আসিল না, বৃদ্ধ অমাত্য বিস্মিত হইলেন । তিনি জানিতেন না যে, পাটলিপুত্রে সভামগুপে আর্য্য সমুদ্রগুপ্তের নীতি রক্ষিত হয় না।--শয্যাত্যাগ করিতে বিলম্ব হয় বলিয়া সম্রাটু দ্বিতীয় প্রহরের পূৰ্ব্বে সভায় আসিতে পারেন না।