দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ 을 이 2 অনন্ত সম্রাটের হস্তাকর্ষণ করিয়া আর্যাপট্রের নিকটে আনিলেন, মহামন্ত্রী তথন ও বেদি কায় দণ্ডায়মান। আর্য্যপটের উপরে বীণা দেখিয়া কৰ্কশকণ্ঠে মহাদেবী জিজ্ঞাসা করিলেন, “এগুল কে আনিল ?” গম্ভীরস্বরে মহামন্ত্রী কহিলেন, “বংসে, ভ্রাতা, পুত্র, ভ্রাতুপুত্র, আত্মীয়, স্বজন, জ্ঞাতি ও লক্ষ লক্ষ স্বদেশবাসী যখন স্বদেশ ও স্বধৰ্ম্মের জন্ত বাহুলীকাতীরে আত্মবলি দিতেছিল, তখন সমুদ্র গুপ্তের বংশপর, চন্দ্র গুপ্তের পুত্র, মগধের প্রাচীন আর্যাপট্ট রঙ্গমঞ্চে পরিণত করিয়া যে অভিনয় করিয়াছেন, তাঙ্গাতে মুগ্ধ হইয়াড়ি । প্রীত হইয়া এই উপহার আনিয়াছি, বিস্মিত হই ও না ।" বৃদ্ধ সমাটের মস্তক অধিকতর অবনত হইল, দামোদর পুনরায় কষ্টিলেন, “পুত্র, তুমি আমার নিকট কেবল সম্রাট নহ, বাল্যসখার পুত্র। শৈশবে আমার অঙ্কে পালিত হুইয়াছ, তোমার আচরণে অত্যন্ত প্রত sহয়ছি। আর্য্যাবৰ্ত্তের তোরণে দৃদ্ধর্ষ শত্রু গোবিন্দ, স্কন্দ, অগ্নি, মগধ হইতে শত শত যোজন দূরে তোরণ রক্ষণ করিতেছে, অবসর বুঝিয়া প্রাচীন মগধের প্রাচীন আৰ্য্যপটে তুমি যে রঙ্গাভিনয় করিয়াছ তাহা জগতে অতুলনীয়। আশাব্বাদ করি সুখী হও ।” বৃদ্ধ সমাঢ় নীরব, সভামণ্ডপ নিস্তব্ধ, মণ্ডপের তোরণে দাড়াইয়া এক গতধেীবন, রূপসী ক্রোধে ও ভয়ে কম্পিত হইতেছিল, তাঙ্গকে দেখিয়া দামোদর কহিলেন, “ইন্দ্রলেথে, অগ্রসর হও, তোমার জয় আমার পরাজয় । সম্রাট তোমার, সাম্রাজ্য তোমার, তুমি সম্রাটের শিরে আসিয়া উপবেশন কর । তোরণে দাড়াইয়া আছ কেন ?” মৰ্ত্তকী ইন্দ্রলেখ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের তীব্রভৃষ্টি সহ করিতে না পারিয়া পলায়ন করিল। তখন নুতন পট্টমহাদেবী বলিয়া উঠিলেন, “তুমি বোধ হয় দামোদর শম্মা ?” স্থিরস্বরে উত্তর হইল, “ই ” “আমি কে তাঙ্গ জান?” “জানি, তুমি ফন্তুঘশের কন্যা, কুমারগুপ্তের পত্নী।” “আমি
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।