পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミoや করুণা পট্টমহাদেবী তাঙ্গ কি জান না ?” “অসম্ভব।” “কেন ?” “বেণ্ডাকন্তা পটে আরোহণ করিলে পট্টমহাদেবী ভয় না।” “কি ?” “সমুদ্র গুপ্তের কোন ও বংশধর যদি প্রাচীন রীতি বিস্তৃত হইয়া বেখ্যা কন্যাকে আর্য্যপটে স্থাপন করে, তাহা হইলে জারজা পবিত্র প্রাচীন মহাসাম্রাজ্যের পট্টনহাদেবী তহঁতে পারে না।” “বৃদ্ধ, তুমি আত্মবিস্কৃত হইয়াছ, মঙ্গরাজাধিরাজ যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে পারেন । তোমার কি মৃত্যুভয় নাই ?” “বংসে, মৃত্যুভয় যদি থাকিত, তাহা হইলে দামোদর শৰ্ম্ম পাটলিপুত্রে ফিরিয়া আসি ত না।” “তুমি আমাকে অভিবাদন করিলে না কেন ?” “তোমার স্বামাকে অভিবাদন করিতে পারি কিন্তু যে মস্তক ধ্রুবম্বামিনী ও স্বদগুপ্তের মাতার নিকট নমিত হইয়াছিল, তাহা ফন্তুঘশের কন্যার চরণতলে নত হইবে না।” “ব্রাহ্মণ তুমি অবধা, কিন্তু এই ধৃষ্ট કાર জন্ত আজীবন অঃ খাপ করিবে ।” “বংসে, জীবনের প্রাস্তে দাড়াইয়া আছি, তরলমতি কুমার গুপ্তকে একাকী মগধে রাখিয়া গিয়াছিলাম, ইঙ্গই একমাত্র অনুতাপের কারণ। দামোদরের অপর অনুতাপ নাই ।” “তুমি অভিবাদন করিবে না ?” “না।” “কেন ?” “তুমি অভিবাদনের অযোগ্য, জারজা বেগু-কন্যাকে যুবরাজ ভট্টারকপদীয় মহানায়ক মহামন্ত্রী দামোদর কখনও অভিবাদন করে নাই, আজিও করিবে না।” “শিবনন্দী, বুদ্ধকে বন্দী কর।” শিবনন্দী কম্পিতপদে অগ্রসর হইল, সে বৃদ্ধের বেদিকার নিকটবর্তী হইলে দামোদর কষ্টিলেন, “ক্ষৌরকার-পুত্র, সাবধান !” অপমানে অভিমানে, ক্রোধে, ক্ষোভে নূতন পট্টমহাদেবী অনন্ত বলিয়া উঠিলেন, “শিবনন্দী, শীঘ্র উহাকে বন্দী কর, নতুবা তুই শূলে যাইবি।” শিবনদী মহামন্ত্রীকে স্পর্শ করিবামাত্র বুদ্ধের প্রচঞ্জ পদাঘাতে ধরাশয্যা গ্রহণ করিল। উচ্চষ্টা করিয়া দামোদর কহিলেন, “অনস্তা, তোমার রাজ্যের মহাপ্ৰতীহার, তোমার মহানায়ক, চন্দ্র গুপ্তের বয়স্তের অঙ্গে হস্তক্ষেপ