তৃতীয় পরিচ্ছেদ ૨ છે છે করিল এবং জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কি সত্য সত্যই মহাবলাধিকৃত নিযুক্ত হইয়াছেন ?” চন্দ্রসেন অঙ্গভঙ্গি করিয়া বিকৃতকণ্ঠে কঠিল, “ন, তোমার সহিত রহস্ত করিবার জন্য পাটলিপুত্র হইতে বাহুলীকে আসিয়াছি।” “আপনি কোথায় যাইবেন ?” “স্কন্দগুপ্ত কোথায় ?” “শিবিরে ” “তাঙ্গকে কারাগারে রাখ নাই কেন ?” “কারাগারে ! কাহাকে ?” “স্কন্দ গুপ্তকে, সম্রাট ত তাহাকে বন্দী করিতে আদেশ দিয়াছেন।” “বন্দী ?” “হঁ৷ ” “কে বন্দী করিবে ?” “কেন, তোমরা ?” “উত্তরাপথে বা দক্ষিণাপথে কেহ যুবরাজভট্টারকের অঙ্গে হস্তক্ষেপ করিবে না।” “কেন ?” “যাহা জানি তাহাই কহিলাম ! মহাশয় এখন কোথায় যাইবেন ?” “স্কন্দের শিবিরে।” গোল্মিক চন্দ্রসেনকে লইয়া স্কন্দগুপ্তের বস্ত্রাবাসের দিকে চলিয়া গেল, তখন শত শত গৌড়ীয় ও মাগধ সেনা আসিয়া প্রহরীকে বেষ্টন করিল। দেখিতে দেখিতে বিদ্যুদ্বেগে শিবিরময় রাষ্ট্র হইল যে, সম্রাটের আদেশে যুবরাজ পদচ্যুত হইয়াছেন, তাহাকে বন্দী করিবার আদেশ প্রচারিত হইয়াছে, পাটলিপুত্র হইতে এক পাগল হণযুদ্ধের সেনাপতি হইয় আসিয়াছে। শত শত যুদ্ধের সঙ্গী, মাগধ ও গৌড়সেনার নয়নপুত্তলি, সৰ্ব্বজনপ্রিয়, বদান্ত, প্রিয়ভাষী যুবরাজের পদচ্যুতি ও বন্ধনের কথা শুনিয়া, ক্ষোভে ও রোষে সাম্রাজ্যের সেনা ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল । সকলে একবাক্যে বলিতে লাগিল, যাহারা দেহের শোণিতু দিয়া উত্তরাপথের তোরণ রক্ষা করিয়াছে, যাহারা অগ্নি গুপ্ত ও গোবিন্দগুপ্তের পাশ্বচর, যাহারা আজীবন সাম্রাজ্যের সৈন্তচালনা করিয়া আসিয়াছে, তাহাদিগের পরিবর্তে কে হণযুদ্ধে মহাসেনাপতি হইবে ? যুবরাজভট্টারক বন্দী, কি অপরাধে ? বিনা অনুরোধে, বিনা আদেশে পঞ্চলক্ষ অশ্বারোহী ও পদাতিক সুসজ্জিত হইয়া যুবরাজের শিবির বেষ্টন করিল। চন্দ্রসেন গোলিকের সহিত যখন যুবরাজের বস্ত্রাবাসে প্রবেশ করিলেন,
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।