>と করুণা ঋণ ” “অক্ষয়, ক্ষতিপূরণস্বরূপ তোমাকে সৰ্ব্বসমেত দ্বাদশ শত দীনার পরশ্ব প্রাতে দিয়া যাইব ।” “দেখ চন্দ্রসেন, তুমি ব্রাহ্মণসন্তান, তোমার পিতা ও পিতামহ চিরকাল সাম্রাজ্যের সেবায় রত ছিলেন । বংশের মধ্যে তুমিই কেবল এই হীনদশায় জীবনযাপন করিতেছ। ইন্দ্ৰলেখার মনস্তুষ্টি সাধনের জন্য যথাসৰ্ব্বস্ব বায় করিয়াছ, তোমার বাসগৃহ অবধি বিক্রয় হুইয়া গিয়াছে —তুমি এত অর্থ কোথায় পাইবে যে কালি আমাকে দ্বাদশ শত দানার আনিয়া দিবে ? অবশেষে কি চৌর্য্যবৃত্তি অবলম্বন করিলে নাকি ?” যুবক বৃদ্ধ শোণ্ডিকের কথা শুনিয়া ক্রুদ্ধ হইল, কিন্তু তাঙ্গ গোপন করিয়া কহিল, “অক্ষয়, সে অনেক কথা । সে কথা আর একদিন বলিব । তোমাকে যেদিন কুমারগুপ্তের নামাঙ্কিত এক সহস্র দুই শত সুবর্ণ দানার দিয়া যাইব, সেইদিন এই কথা বলিয়া যাইব । আমার আর সেদিন নাই, অদৃষ্ট আবার সুপ্রসন্ন হইয়াছে। এখন আমার দশ পাত্র গৌড়ীয় কাদম্ব প্রয়োজন--” 4λ. বৃদ্ধ শোণ্ডিক তাঙ্গর কথায় বাধা দিয়া কহিল, “বাপু হে, তোমার অদৃষ্ট ফিরিয়াছে শুনিয়া বড়ই স্থপী হইলাম। তুমি ব্রাহ্মণসন্তান, অপরাধ লইও না, আমি আর তোমাকে ধারে মদ্য বিক্রয় করিতে পারিব না। তুমি যদি পার তোমার ঋণ শোধ করিয়া যাইও ” “তুমি বুঝিতেছ ন, আজ আমি নিতান্ত অনুগ্রহ করিয়া তোমার বিপণীতে মদ্য ক্রয় করিতে আসিয়াছি। কলা আর চন্দ্রসেনকে পাটলিপুত্রের পথে পদব্রজে চলিতে দেখিবে না।” “সে বাহাই হউক, আমি তোমাকে বিনামূল্যে অনেক সুর বিক্রয় করিয়াছি, আর পারিব না।” “শুন, পাগলেন মত অনর্থক বাক্যব্যয় করিও না। এখন দশ পাত্র গৌড়ীয় কাদম্ব দিলে তবে পরশ্ব দ্বাদশ শত দীনার পাইবে । কুমারগুপ্ত কাদম্ব ভিন্ন অন্ত সুরা স্পর্শ করে না।” “কুমারগুপ্ত ! কুমারগুপ্ত কে ?” “আমার ভার জামাতা।” “পাগলের মত কি বলিতেছ ? তোমার ত
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।