চতুর্থ পরিচ্ছেদ 之 >(? পরিচারক ও পরিচারিক পলায়ন করিয়াছিল। হণসেনা যখন নগর অধিকার করিল, তখন অট্টালিকায় ঋষভ ও করুণা ব্যতীত আর কেহই ছিলেন না। দেখিতে দেখিতে হুণগণ অট্টালিকার নিকটে আসিয়া পড়িল । তাঙ্গাদিগের গর্জন শুনিয়া ঋষভ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ঠাকুরাণি, কি করিবে ?” করুণা শুস্ককণ্ঠে কঠিলেন, “কি আর করিব ঠাকুর ?” “ঠাকুরাণি, আমি তোমার পিতার বয়সী কিন্তু তুমি মাতার ন্যায় আমাকে পালন করিয়াছ। তুমি বয়স্তপত্নী হইলেও তোমাকে মনে মনে মাতা বলিয়াই জানি । আজি শেষ দিন, এত দিন ঠাকুরাণী বলিয়া ডাকিয়াছি, আজি মা বলিয়া ডাকিব । মা, চোখের সম্মুখে জ্ঞান থাকিতে তোমার লাঞ্ছনা দেখিতে পারিব না। কোন পুত্র কবে মাতার निअङ् गश् করিয়া থাকে ?” “ঠাকুর, আজি তোমার ভয় গেল কোথায় ?” “কি জানি মা ? আজি অন্ত কথা মনে আসিতেছে না । মা, তুমি কি করিবে ? তুমি তরুণী ও রূপবতী, বৰ্ব্বরহস্তে তোমার যন্ত্রণার সীমা থাকিবে না, তুমি ক্ষত্ৰকুল-বধূ, চিরন্তন প্রথায় স্বামীকুল ও শ্বশুরকুলের মর্য্যাদা রক্ষণ কর।” “ঋষভ, আমি এখন মরিব না।” “সে কি কথা মা ? তুমি আমার মা, ভানুমিত্রের পত্নী, তোমার কেন মরণে ভয় থাকিবে ?” “যাহা ভাবিতেছ তাহ নঙ্গে ঋষভ ৷ করুণা মরণে ডরে না । আমি ত এখন মরিব না—তিনি আসিবেন, আবার তাঙ্গর মুখখানি দেখিব, র্তাহার কোলে মাথা রাখিয়া মরিতে হয় ত মরিব ।” “হণের নিগ্রহ সহ করিতে পারবে মা ?” “স্বচ্ছন্দে পারিব।” “ধৰ্ম্মরক্ষা করিতে পারিবে মা ?”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।