পঞ্চম পরিচ্ছেদ ミ>& যৌবনের বলে বলীয়ান হইয়াছিলেন। প্রাচীন সাম্রাজ্যের পুরাতন রাজপুরুষগণ যখন দেশান্তরে, মাগধসেনা ও সেনানিগণ যখন সীমান্তে, তখন জীণ বহুকালপরিত্যক্ত কপোতিক সজঘারাম সহসা নবীন সজ্জায় সুশোভিত হইয়া উঠিল, মহাবিহারে নিত্য মহোৎসব আরব্ধ হইল কিন্তু তাহাতে পাটলিপুত্ৰ-নাগরিক বিস্মিত হইল না, কারণ তখন তাহারা বিস্ময়ের সীমা অতিক্রম করিয়াছে । প্রাচীন কপোতিক সঙ্ঘারামে শতসহস্র চৈত্য ও বুদ্ধবোধিসত্ত্ব-মন্দিরে দণ্ডে দণ্ডে পূজ, প্রস্তরে প্রস্তরে আরত্রিক আরব্ধ হইল। বিশাল মহাবিহার সৰ্ব্বদা উপাসক ও উপাসিকাগণের কোলাহলে মুখরিত হইত, পুষ্প, চন্দন ও গন্ধ ধূপদীপে সঙ্ঘারামের চারিদিক আমোদিত হইত। রাত্রিতেও উপাসক-উপাসিকার অভাব হইত না, সঙ্ঘারামের তোরণচতুষ্টয় দিবারাত্রি মুক্ত থাকিত। যে দিন পাটলিপুত্রের প্রাচীন সভামণ্ডপে বৃদ্ধ মহামন্ত্রী দামোদর শম্মী বীণাবাদন করিয়াছিলেন, সেই দিন নিশীথরাত্ৰিতে মঞ্জুশ্ৰীবিহারের আরত্রিক হইতেছিল,ক্ষুদ্র বিহার উপাসক ও উপাসিকায় পরিপূর্ণ। মহাবিহারস্বামী হরিবল গন্ধদীপ ও বজ্ৰঘণ্টান্তস্তে মঞ্জুঘোষের আরত্রিকে ব্যাপৃত। নূতন মুবর্ণনিৰ্ম্মিত সিংহাসনে ব্রহ্মশিলানিৰ্ম্মিত উজ্জল মঞ্জুশ্ৰী শতশত দীপালোকে হাস্ত করিতেছিল। অরিত্রিক শেষ হইলে সমবেত উপাসকগণ পত্রপুটে শুভ্র কুসুমদাম মহাবিহারস্বামীর হস্তে অর্পণ করিল। শুভ্র রজতখণ্ড দক্ষিণা গ্রহণ করিয়া হরিবল শ্বেতচন্দনচর্চিত শুভ্র কুন্দ কুসুমরাশি মঞ্জুশ্রীর পাদপীঠে নিক্ষেপ করিতেছিলেন। সৰ্ব্বশেষে এক অবগুণ্ঠনাবৃত উপাসিক বটপত্রপুটে কুন্দের পরিবর্তে শ্বেত করবীর মাল্য মহাবিহারস্বামীর হস্তে অৰ্পণ করিল । হরিবল মালা গ্রহণ করিয়া চমকিত হইলেন। শ্বেত করবীর মালাগ্রন্থিতে একটি ক্ষুদ্র রক্তকরবী ছিল। হরিবল উপাসিকার মুখের দিকে চাহিলেন, অবগুণ্ঠনাবৃত-বসনমধ্য হইতে রক্তপ্রবালখচিত সুবর্ণাঙ্গুরীয়ক গ্রহণ করিয়া মহাবিহারস্বামীকে প্রদান
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।