পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* २ ० করুণা করিল। ত্রস্তপদে মঞ্জুশ্ৰীবিষ্ঠার পরিত্যাগ করিয়া হরিবল কপোতিক সত্তঘারামের ত্রিতলে আরোহণ করিলেন, অব গুণ্ঠনাবৃত র্তাঙ্গর অনুসরণ করিল। ত্রিতলের এক প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করিয়া হরিবল দ্বার রুদ্ধ করি. লেন, রমণী অব গুণ্ঠন পরিত্যাগ করিয়া তাঙ্গকে বাহুপাশে আবদ্ধ করিল। প্রৌঢ় মহাবিঙ্গারস্বামী ঈষৎ হাস্ত করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ব্যাপার কি ? এখনও অভিসারের বাঞ্ছা আছে কি ?” রমণী আকুল হইয়া কঠিল, “রঙ্গ-রহস্ত্যের সময় নহে হরিবল, সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত ” “তোমার আৰু সৰ্ব্বনাশ কি ইন্দ্রলেখে ? সাম্রাজ্য তোমার করতলগত, সম্রাট তোমার কন্যার পদপ্রান্তে লুষ্ঠিত, তোমার সৰ্ব্বনাশ কে করিতে পারে?” “নে করিতে পারে সে আসিয়াছে। “দামোদর " " " বিষদন্তলীন বৃদ্ধ সৰ্প দংশন করিতে পারে বটে, কিন্তু তাহাতে তোমার সৰ্ব্বনাশ হয় না।” “আর একজন আসিয়াছে।” “কে, গোবিন্দ ?” “তাহাও শুনিয়াছ, তবে নিশ্চিন্ত হইয়া বসিয়া আছ কেমন করিয়া ?” “বৃথা আশঙ্ক করিতেছ। ইন্দ্রলেখে, যতদিন অনন্তার যৌবন আছে, রূপ আছে, নয়নকোণে কটাক্ষ আছে, ভ্রভঙ্গি আছে, ততদিন কোন চিন্তা নাই। অনন্তার রূপর্যৌবন গত হইবার বহুপূৰ্ব্বে কুনারগুপ্ত চিতাশয্যা গ্রহণ করিবে । সাম্রাজ্যে চন্দ্র গুপ্তের কনিষ্ঠ পুত্র কুমারগুপ্তের সমকক্ষ, গোবিন্দগুপ্তের ন্যায় তীক্ষ্ণবুদ্ধি আর কাহারও আছে কি সন্দেহ, কিন্তু শকমণ্ডলেশ্বর গোবিন্দগুপ্ত কয়দিন পাটলিপুত্রে থাকিবে ? চক্ষুর অন্তরাল হইলে কুমারগুপ্ত গোবিন্দের কথা বিস্তৃত হইবে, তখন অনন্তার তীক্ষকটাক্ষ সমুদ্র হইতে সমুদ্র পর্য্যন্ত ও হিমাদ্রি হইতে কুমারিক পর্যন্ত বিস্তৃত গুপ্তরাজ্য শাসন করিবে ।” “তুমি কি জান না ব্যাপার অনেকদূর গড়াইয়াছে ?” “কি হইয়াছে ?” “প্রভাতের সভায় যাহা হইয়াছিল তাহ শুনিয়াছ ?” “শুনিয়াছি। ইন্দ্রলেখে, অনন্ত বালিকা, তাহাকে যে পদে বসাইয়াছি তাহার উপযুক্ত শিক্ষা সে পায় নাই, তাহাকে সাবধানে চালাইও ।