পঞ্চম পরিচ্ছেদ ミミ○ নরকেওঁ তোমার স্থান হইবে না।” “ইন্দ্রলেখে, রাগ করিলে নাকি ? ক্রোধ পরিত্যাগ কর, যাহা বলি তাহ শুন৷” “কি বলিতেছ বল ?”"অনেক ভাবিয়া দেখিয়াছি, তাহ হয় না । অনন্তাকে আর্য্যপট্রে বসাইয়া গুপ্তসাম্রাজ্য স্বশাসিত করা সম্ভব নয়। সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্য ধ্বংস না করিলে, বৈষ্ণব-অভিজাত-সম্প্রদায়ের সব্বনাশ না করিলে, সদ্ধৰ্ম্মের পুনরুদ্ধার হইবে না, অনন্তা ও পট্টমহাদেবী দীর্ঘকাল আর্য্যপটে প্রতিষ্ঠিত থাকিবে না।” “কেন ?” “অত কথা তুমি বুঝিতে পরিবে না, ইন্দ্রলেখে।”• “কেন পারিব না, তুমি বল ।” “সে অনেক কথা। বুড়া মরিলে স্কন্দ গুপ্ত যদি বাচিয়া থাকে তাহা হইলে তাঙ্গকে রাজ্যাধিকার করিতে দিব না। প্রাচীন অভিজাতসম্প্রদায়ের সকলে স্কন্দগুপ্তকে সাহায্য করিবে, কারণ তাহারা যে নীতির দীক্ষা পাইয়াছে, স্কন্দ গুপ্ত সেই রীতিতে দীক্ষিত। এই রাষ্ট্রনীতির সহায়তায় সদ্ধম্ম, মহাসঙ্ঘ ও বৌদ্ধরাজ্য বিনাশ করিয়া সমুদ্রগুপ্ত নূতন সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল। এই বৈষ্ণব-সাম্রাজ্য বৈষ্ণব-অভিজাতসম্প্রদায় ও সমুদ্রগুপ্তের রাষ্ট্রনীতি সমূলে উৎপাটন না করিলে সদ্ধষ্মের পুনরুদ্ধার হইবে না, বা আর্য্যাবৰ্ত্তে বৌদ্ধসাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা হইবে না। অনন্তার পুত্ৰ সদ্ধৰ্ম্মী হইবে, সে মগধের রাজা হইবে। কিন্তু সাম্রাজ্য গঠনে সময় লাগিবে। ইন্দ্রলেখা, যাহা গঠন করিতে শতাব্দী অতিবাহিত হইয়াছে তাহা নিমেযে ধূলিসাৎ হয়, কিন্তু পুনঃগঠনে আবার শতাব্দী পরিমিত কাল অতিবাহিত হয়। তুমি ফিরিয়া যাও, অনস্তাকে সাবধানে চলিতে বলিও নতুবা বিপদ হইবে। বলি, আজি কি সঙ্ঘারামে রাত্রিবাস করিবে ?” “মরণ আর কি, যৌবন ত অনেক দিন গিয়াছে, মহাবিহারস্বামীর পাপকার্য্যে মতি এখনও যায় নাই ? বুড়া হইয়াছ, মরিতে চলিয়াছ, দুইদিন পরে চিতায় উঠবে এখন পাপচিন্তা পরিত্যাগ কর।” ”সখি, দেহের যৌবন অতীত হইলেও মনের যৌবন এখনও যায় নাই। পাপপুণ্যের কথা ত তোমাকে পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি । আমার পাপ, আনার
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।