পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ X a বিবাহই হয় মাই, তোমার আবার জানাত কে ?” বাধা দেও কেন, আগে শেষ করিতে দাও । ইন্দ্রলেখার সহিত আমার কি সম্পর্ক জান ত ? তাহার সহিত আমার গান্ধৰ্ব্ব বিবাহ হইয়াছে, মালা বিনিময় হইয় গিয়াছে । সুতরাং ইন্দ্ৰলেখার কন্ত অনন্তা এখন , আমারই কন্ত । কুমারগুপ্ত অনন্তার জন্ত পাগল। কলা সন্ধ্যার সময়ে অনন্তার সহিত কুমারগুপ্তের বিবাহ । কুমার গুপ্ত আর কে ? পরমেশ্বর পরমভট্টারক পরমবৈষ্ণব পরমমহেশ্বর মঙ্গরাজাধিরাজ শ্ৰীমং কুমারগুপ্ত দেবপাদ। অনন্তার সহিত বিবাহ হইলেই কুমারগুপ্ত আমার জামাত হইল। কেবল বিবাহ নয়, বিবাহ হইলে অনন্ত পট্টমহাদেবী হইবে, স্কন্দ গুপ্তের মাতাটাকে কুমারগুপ্ত দূর করিয়া দিবে বলিয়াছে।” বৃদ্ধ অক্ষয় নাগ নীরবে সমস্ত কথা শুনিয়া ဂ္ယီzi, তাহার পর ধীরে ধীরে কহিল, “বল কি চন্দ্রলেন ? ইন্দ্ৰলেখার কন্যার সহিত মহারাজাধিরাজের বিবাহ ? আমি শুনিয়াছিলাম মহারাজ বৃদ্ধ বয়সে এক নীচ জাতীয় কষ্ঠার পাণিগ্রহণ করিবেন কিন্তু ইকুলেখার কম্ভ পট্টমহাদেবী হুইবে একথা ত শুনি নাই ।” “সত্য অক্ষয়, ধ্রুব সত্য । ইহার এক বর্ণও মিথ্যা নহে। বিশ্বাস না হয় তুমি মদ্য লইয়া আমার সঠিত ইন্দ্ৰলেখার গৃহে আইস ; দেখিবে তোমাদের মহারাজাধিরাজ সেখানে উপবিষ্ট আছেন।” রাজপথ দিয়া দুইজন যোদ্ধ পুরুষ চলিয়া যাইতেছিল, তাহারা চন্দ্রসেনের উক্তির শেষাংশ শুনিয়া দাড়াইল । অক্ষয়ু নলগ কহিল, “ভাল, মদ্য লইয়া যাও, কিন্তু পরশ্ব মূল্য দিয়া যাইও “ চন্দ্রসেন উল্লাসে চীৎকার করিয়া কহিল, “অক্ষয়, তোমার জয় হুটুক, আমি ব্রাহ্মণ, আমি আশীৰ্ব্বাদ করিতেছি তোমার পরমায়ু অক্ষয় হউক, লক্ষ্মী তোমার গৃহে অচলা হউন । পরশ্ব কুমারগুপ্তকে তোমার দুয়ারে বাধিয়া রাখিয়া যাইব ।” শোণ্ডিকের আদেশে একজন পরিচারক দশটি কাচপাত্রপূর্ণ মুরা লইয়া আলি,চন্দ্ৰসেন, কাচের আবারগুলি তাহার বহুমূল্য উত্তরীণ