ミミや • করুণা অস্ত্রশিক্ষা দিয়াছি । হর্ষ, করুণ আত্মরক্ষা করিতে জানে, মরিতেও জানে ৷” সঙ্গস গিরিশৃঙ্গের নিয়ে সঙ্কীর্ণ গিরিপথে অশ্বপদশব্দ শ্রুত হইল, হর্ষ গুপ্ত চমকিত হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “দাদা—ভানু-” তাহার উক্তি শুনিয়া যুবরাজের পা ধুবৰ্ণ মুখ শুভ্ৰ হইয়া গেল, তিনি কম্পিত-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হর্ষ, সেনাদল কোথায় ?” “তাহারা গিরিপথে প্রবেশ করিয়াছে।” “তুমি শীঘ্ৰ যাও, চক্ৰপালিত ও বন্ধুবৰ্ম্মাকে মালব ও সেঁরাষ্ট্রের অশ্বারোঙ্গ লইয়া দ্রুতগতিতে পুরুষপুরে প্রবেশ করিতে আদেশ, কর ।” “আপনি কোথায় যাইবেন ?” “আমি ভানুকে একাকী শক্রহস্তে বন্দী হইতে দিব না ।” * উক্তি শেষ হইবার পূৰ্ব্বে যুবরাজ অশ্বচালনা করিলেন, তাহা দেখিয়া কুমার হর্ষ গুপ্ত র্তাহার নিকটে আসিয়া কছিলেন, “দাদা, আপনি একমুহূৰ্ত্ত অপেক্ষ করুন এখনই অশ্বারোহী-দল—” বিরক্ত হইয়া যুবরাজ কহিলেন, “বাধা'দি ও না ভাই, বহুকাল সঞ্চিত অপরিশোধা ঋণে ভানুর নিকট আবদ্ধ আছি, আজি বাসুদেব তাহার কণামাত্র পরিশোধের অবসর দিয়াছেন । তুমি আমার জন্য বিলম্ব করিও না, শীঘ্র মালব ও সোরাষ্ট্রগুল্ম লইয়। পুরুষপুরের তোরণে আসিও ” “আৰ্য্য, যদি আপনার বিপদ হয় তাঙ্গ হইলে যে সৰ্ব্বনাশ হইবে ?” “ভাই, দূতমুখে শুনিয়াছ মগধসাম্রাজ্যে স্কন গুপ্তের আর প্রয়োজন নাই, তবে কাহার সৰ্ব্বনাশ হইবে ? বৃথা বাক্যব্যয় করির সময় নষ্ট করিও না, যত শীঘ্র পার পুরুষপুরের তোরণে আসিও, মুহূৰ্ত্তমাত্র বিলম্ব হইলে ভানুর বা আমার দেহের কণামাত্রও দেখিতে পাইবে না ।” যুবরাজ দ্রুতবেগে ভামুমিত্রের অনুসরণ করিলেন, হর্ষগুপ্ত মুহূর্তমাত্র অপেক্ষা করিয়া অস্ফুটম্বরে কছিলেন, “দেব, তুমি যদি আৰ্য্যপট্টে উপবেশন কর তবেই মগধ-সাম্রাজ্য রক্ষা হইবে নতুবা স্বয়ং বাসুদেব চক্ৰধারণ
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।