ミミb" করুণা করিল না। স্কন্দগুপ্ত অগ্রসর হইয়া ভালুমিত্রের স্বন্ধে হস্তার্পণ করিলেন, প্রতিম টলিল, যুবরাজ বয়স্তকে বহুপাশে আবদ্ধ করিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভানু—করুণ।” সহসা পাষাণপ্রতিমার অসি কোষমুক্ত হইল, ফলক সশব্দে লোহনিৰ্ম্মিত শিরস্ত্রাণ স্পর্শ করিল, পরক্ষণেই অসিশীর্ষ গৃহতলে শুষ্ক প্রায় শোণিত প্রবাহের দিকে প্রদর্শিত হইল। এইবার পাষাণপ্রতিমা কথা কঙ্গিল ।“ ভানুমিত্র কছিলেন, “ঐ — ঐ মাত্র আছে, ঐ শোণিতপ্রবাঙ্গ কলা তাঙ্কার ধমনীতে ধমনীতে শিরায় শিরায় প্রবাহিত হইয়াছিল ।” পাষাণপ্রতিম! আবার টলিল, শত শত যুদ্ধের বার কোমলাঙ্গার কোমল অঙ্গের শোণিতবিন্দু দর্শনে মুচ্ছিত হইয়া ভূতলে পতিত হইলেন । , তখন স্কন্দ গুপ্ত গৃহতলের রক্তরঞ্জন করুণার শোণিত মনে করিয়া অশ্রুঅন্ধ নয়নে সেই দিকে চাঙ্গিয়াছিলেন। যুবরাজ ভাবিতেছিলেন, আশৈশব সুখলালিতা করুণা কেমন করিয়া কোমল অঙ্গে অস্ত্রাঘাত সহ্য করিয়াছিল ? কেমন করিয়া অনায়াসে মৃত্যুর কঠোর মুক্তিকে আলিঙ্গন করিয়াছিল ? বৰ্ম্মাবৃতদেহ সশব্দে গৃহতল স্পর্শ করিলে যুবরাজ চমকিত হইলেন । স্কন্দ গুপ্ত হতচেতন ভালুমিত্রের মস্তক উৎসঙ্গে উঠাইয়া লইলেন এবং রুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন “ভানু, ইহা দেখাইবার জন্তই কি তোমাকে পুরুষপুরে ফিরাইয়া আনিয়াছিলাম ? করুণাকে ছাড়িয়া কতদিন বাচিবে, কুণযুদ্ধে তোমার মৃত্যুই শ্রেয় ” তিনি ভালুমিত্রের শিরস্ত্রাণ ও অন্তরক্ষ উন্মোচন করিয়া বসিয়া রছিলেন, মুহূৰ্ত্তমধ্যে চেতনা ফিরিয়া আসিল, ভানুমিত্র বেগে উঠিয়া বসিলেন । যুবরাজ জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভানু সুস্থ হইয়াছ ?” সহসা তাছার দিকে মুখ ফিরাইয়া ভানুমিত্র বলিয়া উঠিলেন,"স্কুন্দ, কখন আসিলে ? করুণ কোথায় গেল ?” যুবরাজ ধীরে ধীরে বয়স্তের মস্তকে হস্তাপণ করিয়া কহিলেন, “ভাই, নারায়ণ দিয়াছিলেন নারায়ণ গ্রহণ করিয়াছেন । তুমি
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।