২৩৪ করুণ নগরবাসিনী আনিয়াছিল।” “সে কোথায় ?” “এই নগরেই আছে।” “তাহাকে লইয়। আইস ।” বন্ধুবৰ্ম্ম অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিলেন এবং অৰ্দ্ধদও পরে বিধবা পুরুষপুরবাসিনীর সহিত ফিরিয়া আসিলেন । পুরুষপুর নগরে যে অট্টালিকায় করুণাদেবী ঋষভদেবের সহিত বাস করিতেন, সেই অট্টালিকায় যুবরাজভট্টারক স্কন্দগুপ্ত ভানুমিত্রের সহিত বাস করিতেছিলেন। বৃদ্ধা আসিয়া যুররাজকে অভিবাদন করিল, স্কন্দ গুপ্ত তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এই পত্র কোথায় পাইয়াছিলে ?” বৃদ্ধ কহিল, “এই অট্টালিকায় ।” “এই অট্টালিকার কোথায় ?” “দ্বিতলের একটি কক্ষে ” “তুমি এই অট্টালিকায় কেন আসিয়াছিলে ?” “হণ আসিবার পূৰ্ব্বে এই অট্টালিকায় যে দেবী বাস করিতেন, তাহার পরিচারকবর্গ গৃহমাজনার জন্ত আমাকে দাসী নিযুক্ত করিয়াছিল।” “পত্র কবে পাইয়াছিলে ?” “যেদিন হুণসেন নগরত্যাগ করিয়াছিল।” “সে দিন কি জন্য এই অট্টালিকায়ু আসিয়াছিলে ?” “দেবীর সন্ধানে।” “কি দেখিলে ?” “দেখিলাম অট্টালিকা জনশূন্ত, ধনরত্ন লুষ্ঠিত ও অপহৃত, দ্বিতলের একটি কক্ষে গৃহতলে শোণিতচিহ্ন ও তাহার পাশ্বে এই পত্রখণ্ড পতিত আছে।” “যে দেবী এই অট্টালিকায় বাস করিতেন, তিনি কি হুণকর্তৃক নিহত হইয়াছেন ?” “না ।” অকস্মাৎ যুবরাজের দেহ রোমাঞ্চিত হইল, বন্ধুবৰ্ম্ম শিহরিয়া উঠিলেন, হর্ষগুপ্তের কোযবদ্ধ অসির ঝনৎকার শ্রুত হইল। স্কন্দগুপ্ত পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিলেন, “দেবী কোথায় বলিতে পার ?” সহসা বৃদ্ধ যুবরাজের পাদমূলে পতিত হইল এবং সাশ্রনয়নে কহিল, “দেব, আমাকে ক্ষমা করুন, আমি মূঢ়া রমণী, তিনি দেবতা। পাপমুখে দেবকথা ব্যক্ত করিতে পারিব না—” “মাড, তিনি দেবী নহেন মানবী,—সম্পর্কে আমার ভগিনী, তুমি নিৰ্ভয়ে তাহার কথা ব্যক্ত কর।” “তিনি কখনই মানবী নহেন,
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।