নবম পরিচ্ছেদ ミ8 ○ হুণরাজ অশ্বারোহিগণকে কহিলেন, “ইহাকে দেবীর নিকট লইয়। মাও, তাহার আদেশ প্রতিপালন করিও ।” তখন নদীতীরে সহকারতলে ঋষভদেব নিদ্রিত, করুণা চিন্তামগ্ন, অশ্বারোহিগণ দূরে দাড়াইয়৷ প্রণাম করিল, একজন অগ্রসর হইয়া ঋষভের অঙ্গে হস্তাপণ করিল, ঋষভ চমকিত হুইয়া উঠিয়া বসিলেন । সেই সময়ে করুণা চক্ষু মেলিলেন, কুণ অশ্বারোহিগণ বলিয়া উঠিল, “মাতা, এই বাক্তি বলিতেছে যে, সে গুপ্তসাম্রাজ্যের প্রধান সেনাপতি।” ঋষভদেব নিকটে গিয়া বহু উস্কার তীব্র আলোকে চন্দ্রসেনকে পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, এবং কন্সিলেন, “মিথ্যা কথা ।” অশ্বারোহিগণ সমস্বরে বলিয়া উঠিল, “মহারাজের আদেশ, মাতা শাস্তি বিধান করিবেন ।” d ঋষভদেব করুণার মুখের দিকে চাঙ্গিলেন, করুণা কহিলেন “বাবা, ইঙ্গার কি বলিতেছে ?” ঋষভদেব কহিলেন, “এই ব্যক্তি প্রতারক, মিথ্য পরিচয় দিয়াছে, হ্ণরাজ দণ্ডবিধানের জন্ত ইহাকে তোমার নিকট প্রেরণ করিয়াছেন।” “দণ্ড কি ?” “প্রাণদণ্ড অথবা তুষানল।” “ড়ি, গোপাল কাদিবে, ছাড়িয়া দাও।” নবম পরিচ্ছেদ سسمس-3 *:-مسـ সনলেদ শবহ বর্ষায় ভাগীরথী কুলে কুলে ভরিয়া উঠিয়াছে, পাটলিপুত্রের বিশাল প্রাসাদসামায়, মাত্র ধ্রুবম্বামিনীর প্রাসাদ শত শত উল্কা, সহস্ৰ সহস্র দীপের আলোকে উজ্জ্বল, অবশিষ্ট ঘন তমসাচ্ছন্ন। সন্ধ্যা হইয়াছে, মরীচিমালী বিন্ধের অন্তরালে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন কিন্তু অস্তাচলগামী দিবাকর
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।