ર 88 করুণা প্রভায় পশ্চিমগগন তখন ও অরুণরঞ্জনে রঞ্জিত | প্রাচীন গুপ্তসাম্রাজ্য ধ্বংসোন্মুখ হুইয়াও অতীতের কাৰ্বিপ্রভায় সমুজ্জল ; সেই দিন প্রাচীন গুপ্তসাম্রাজ্যের রাজধানী, অতি প্রাচীন পাটলিপুত্র নগর দেখিয়া কেত স্বপ্নেও ভাবিতে পারিত না যে, সমুদ্র গুপ্তের বিশ্রাল সাম্রাজ্যের অস্তিমকাল সমীপবৰ্ত্তা। প্রাচীন সম্রাট ও নবীন পট্টমঙ্গদেবী নিত্য নুতন মহোৎসবে আকণ্ঠনিমগ্ন, মঙ্গরাজপুত্র মহামন্ত্রীকে স্বপদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া পঞ্চনদ যাত্র করিয়াছেন, বুদ্ধ মহামন্ত্রী প্রাচীন সাম্রাজ্যের অবস্থা দেথিয়া স্তম্ভিত । তখন নৰ্ত্তকা ইন্দ্ৰলেখা ও বৌদ্ধাধম হরিবল জীর্ণ তরণীর কর্ণধার । আলোকমালা-শোভিত ধ্রুবস্বামিনীর প্রাসাদসম্মুখে এক দীর্ঘাকার বুদ্ধ অলিদের শুভ্র মন্মরনিৰ্ম্মি ত স্তস্তাবলম্বনে অন্যমনস্ক হইয় দাড়াইল্পছিলেন । প্রাসাদমধ্যে বিস্তৃত অঙ্গনে বহুমূল্য চন্দ্ৰাতপ তলে শত শত রূপসী যুবতা নৃত্যু করিতেছিল, চঞ্চল চরণযুগের শত শত নুপুর, বীণা ও মুরলীর লয়ে ধ্বনিত হইতেছিল ; তাঙ্গ বৃদ্ধের কর্ণে প্রবেশ করিতেছিল না । অঙ্গনের চতুষ্পার্শের অলিন্দসমূহ শ্রোতৃবর্গে পরিপূর্ণ, অসংখ্য সৰ্থীজনপরিবৃত নবীন পট্টমহাদেবীর পাশ্বে যুবজনমুলভ বিচিত্র বহুবণ পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া বৃদ্ধ সম্রাট কুমার গুপ্ত উপবিষ্ট । পশ্চিমগগন যখন রজনীর অধিকারে আসিল, যখন অভিসারিকার সূক্ষ্ম বসনাঞ্চলে আবৃত হীরকালঙ্কারের ন্তায় গগনপটে শত সহস্র তারকা ফুটিয়া উঠিল,তখন একজন দীর্ঘাকার বুধ অলিঙ্গ ত্যাগ করিয়া জাহ্নবীতীরে বুদ্ধের পাশ্বে গিয়া দাড়াইল, চিন্তাম্রোত বাধা পাইল, বৃদ্ধ মস্তকোত্তোলন করিলেন । যুবা অফুর্টস্বরে কহিল, “প্ৰভু, সংবাদ আসিয়াছে।” বৃদ্ধ জাহ্নবীস্রোতের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “লইয়া আইস ।” যুবা তৎক্ষণাৎ স্থানান্তরে চলিয়া গেল, বৃদ্ধ ধীরে ধীরে ধ্রুবস্বামিনীর প্রাসাদ পরিত্যাগ করিয়া একটি অন্ধকারময় কক্ষে প্রবেশ করিলেন। ক্ষণকালপরে পূৰ্ব্বোক্ত যুবা অন্ত
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।