こ8や করুণ! করিয়া স্বেচ্ছায় যুবরাজের সহিত কারাগারে প্রবেশ করিয়াছিলেন। সেই সংবাদ শুনিয়া পঙ্গপালের ন্যায় চূণসেনা বাহুলীক ও কপিশা আক্রমণ করিয়াছিল, তাহারা বালীক নগর অধিকার করিবার পূৰ্ব্বেই নূতন মহাবলাধিকৃত পলায়ন করিয়াছিলেন।” “স্কন্দ কোথায় ?” “দেব, তাহা । বলিতে পারি না ।” “কৃষ্ণ গুপ্ত স্কলদগুপ্তকে ত্যাগ করিয়া সিন্ধুদেশে গেল কেন ?” “বাহলীক ও কপিশা অধিকৃত হইলে হণসেনা উষ্ঠান ও গন্ধার আক্রম । করিয়াছিল, মহা প্রতাহার ছত্রভঙ্গ সাম্রাজ্যের সেনাদল একত্র করিয়া তার্হাদিগের গতিরোধ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন কিন্তু পরাজিত হইয়া সিন্ধুদেশে আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছেন।” “হুণগণ কতদূর আসিয়াছে জান ?” “শুনিয়াছি তাঙ্গর পুরুষপুর ও তক্ষশিলা অধিকার করিয়াছে।” “পুরুষপুর । নারায়ণ, করুণা যে পুরুষপুরে ছিল ?” “দেব, মঙ্গা প্রাপ্তাহার কঠিয়াছেন, বিযম বিপদ উপস্থিত, সত্বর প্রতীকার না করিলে সৰ্ব্বনাশ হইবে।” “সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে ! অন্তান্ত নায়কগণ কোথায় ?” “দেব, নিশ্চয় বলিতে পারি না, তাহারা বোধ হয় যুবরাজের সহিত কপিশায় বন্দী।” “কৃষ্ণগুপ্ত তোমাকে কোন নিদর্শন দিয়াছিল ?” “ši lo সৈনিক বস্ত্রমধ্য হইতে একটি অঙ্গুরীয়ক বাহির করিয়া বৃদ্ধের হস্তে সমর্পণ করিল, তাহা গ্রহণ করিয়া বৃদ্ধ যুবাকে উল্কা আনিতে আদেশ করিলেন। সহসা উস্কার উজ্জল আলোকে ক্ষুদ্র কক্ষ উদ্ভাসিত ইয় উঠিল, বৃদ্ধ অঙ্গুরীয়ক দেখিয়া শিহরিয়া উঠিলেন, তাছার দক্ষিণহস্তে নীলমণিযুক্ত সুবর্ণাঙ্গুরীয়ক উল্কার আলোকে উজ্জল হইয়া উঠিল। সেই সময়ে কক্ষের পাশ্বে ক্ষীণ পদশব্দ শ্রুত হইল, যুব দ্রুতপদে কক্ষের বাহিরে আসিয়া দেখিলেন, শুভ্ৰবস্ত্রাবৃত দীর্ঘাকার মনুষ্যমূৰ্ত্তি দূরে অন্ধকারে মিশিয়া গেল। প্রাচীন সাম্রাজ্যের বৃদ্ধ মহাসচিব তখন মস্তকে হস্তাপণ করিয়া ধূলিময় গৃহতলে উপবেশন করিয়াছেন।
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।