দশম পরিচ্ছেদ শতদ্রুতীরে সন্ধ্যার প্রাক্কালে শতদ্রুতীরে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে সহস্ৰ সহস্ৰ অশ্বারোহী সেনা সমরবেশে সজ্জিত হইয়া অপেক্ষা করিতেছিল । তাহাদিগের সম্মুখে শতদ্রুবক্ষে বিস্তীণ সৈকতে অষ্টজন বৰ্ম্মাবৃত অশ্বারোহী জনৈক খৰ্ব্বাকৃতি যুবককে বেষ্টন করিয়া দাড়াইয়াছিল। যুবক ও অশ্বপৃষ্ঠে কিন্তু তাঙ্গর মস্তক আবরণশষ্ঠ, গুরুভার লৌহনিৰ্ম্মিত শিরস্ত্রাণ অশ্বের আসনে আবদ্ধ। যুবার মস্তকের পিঙ্গলবর্ণ সুদীৰ্ঘ কুঞ্চিত কেশরাশি সান্ধাসমীরণের মৃদুতাড়নায় সুন্দর শুভ্র ললাটে নৃত্যু করিতেছিল। যুবার বদনমণ্ডল প্রফুল্ল, নয়নদ্বয় দীপ্ত, কোমল ওষ্ঠে হাস্তের রেখা । বিস্তীর্ণ গুপ্তসাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ অধীশ্বর যুবরাজভট্টারক পরমবৈষ্ণব মহারাজ স্কন্দ গুপ্তদেব একহস্তে দীর্ঘ আসি ও অপর হস্তে গুরুভার হৈমদণ্ড ধারণ করিয়া মালবেশ্বর বন্ধুবৰ্ম্মাকে আদেশ করিতেছিলেন । তাহার সম্মুখে পাষাণ-প্রতিমার স্তায় নিশ্চলভাবে ভানুমিত্র অশ্বপৃষ্ঠে উপবিষ্ট ছিলেন। হর্ষ গুপ্ত, বন্ধুবৰ্ম্ম, চক্রপালিত প্রমুখ সেনানিগণ নিবিষ্টচিত্তে যুবরাজের বাক্যাবলী শ্রবণ করিতেছিলেন। যুবরাজ বণিতেছিলেন, “বন্ধু, যাহারা ফিরিয়া যাইতে চাহে, যাহাদিগের স্ত্রী-পুত্র আছে, পুত্র-কলত্রের মুখদশনের বাসনা আছে, তাহাদিগকে ফিরাইয়া দাও। তুমি রাজপুত্র, আমার সংসর্গে আসিয়া বহুক্লেশ সহ করিয়াছ, বহুদিন শস্তষ্ঠামল মালব দর্শন কর নাই, তুমিও ফিরিয়া যাও।” উচ্চ হাস্ত করিয়া বন্ধুবৰ্ম্ম জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমরা ত ফিরিয়া যাইব
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।