দশম পরিচ্ছেদ ج لما جن যুবরাজ, তুমি কোথায় যাইবে ?” “কোথায় যাইব যদি তাহা দেখিবার বাসনা থাকে বন্ধু, এই শতদ্রুতীরে দূরে দাড়াইয়া দেখিও । দেখিতে আসিয়া ঘদি খুজিয়া পাও, মাহ পাইবে তাত শতদ্রুর তরঙ্গমালায় ঢালিয়া দিও ” “কেন যুবরাজ ?” “বন্ধু, যাহা শিখি নাই, যাহা স্বপ্নেও ভাবি নাই, অদৃষ্টচক্ৰে পড়িয়া তাঙ্গই করিয়াছি, বহুদূর প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছি, আর না । বন্ধু, আজি অদৃষ্টকে উপহাস করিব, এই শতদ্রুতীরে ভাগ্যপরীক্ষা করিব মনে করিয়াছি।” “কি বলিলে সুবরাজ ?” “স্থির হও, আমি উন্মত্ত নহি, যাহা বলি শুন । বাহলাক হইতে পলায়ন করিয়া কপিশায় আসিয়াছিলাম, কপিশা হইতে শতদ্রুতারপর্যন্ত পুত্যাবত্তন করিয়ছি ; বন্ধু, আজি স্থির করিয়াছি, পুণ্যতোয় শতদ্রুতীরে ভাগ্য-পরীক্ষা করিব।” “কি বলিতেছ বুঝিলাম না।” “অদ্য নিশিথে কুণরাজ শতদ্রুতীর্থে আসিবে, স্থির করিয়াছি বাহুবল পরীক্ষা করিব।” “সৰ্ব্বনাশ, যুবরাজ, কত সেনা আছে জান ?” “জানি দ্বাদশ সহস্ৰ হইবে না ।” “দশ সহস্র হয় কি না সন্দেহ ” “ক্ষতি কি ?” “এই দশ সহস্র সেনা লইয়া শতসহস্ত্রের বিরুদ্ধে দাড়াইবে ?” “বন্ধু, গুপ্তবংশের প্রাচীন ইতিহাস স্মরণ কর, দশ সহস্র কি কথন শতসঙ্গসের সম্মুখীন হয় নাই ? স্মরণ কর, মাত্র দশ সহস্ৰ শকসেনার গতিরোধ করিয়াছিল । বন্ধু, ফিরিয়া যাও, স্কন্দ গুপ্তের প্রত্যাবৰ্ত্তন নাই, ফিরিবার স্থান নাই, আশ্রয় নাই, তোমার সব আছে —” “কেন স্কন্দ, তোমার পিতা, তোমার রাজ্য, তোমার রাজধানী, তোমার দেশ, তোমার স্বদেশবাসী সকলেই তোমার—” “মোহ, বন্ধু, সমস্তই মোহ, পিতা বিমুখ, মাতা স্বর্গে, বিমাতা বিনাশ-প্রয়াসা, অদৃষ্ট নির্দয় । মগধে—আর্য্যাবৰ্ত্তে—ভারতবর্ষে আজি স্কন্দগুপ্তের স্থান নাই, আশ্রয় নাই—” “যুবরাজ, অন্য কথা বল ।” “শুন বন্ধু, ব্যথিত হইও না, আমার অন্ত গতি নাই, সেই জন্য আজ অদৃষ্টকে উপহাস করিব, নিয়তির গতি পরিবর্তিত করিতে চেষ্টা করিব, মরি
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।