& te করুণা ক্ষতি নাই। হয় ত একদিন আর্য্যাবৰ্ত্তবাসী শতদ্রুর যুদ্ধের কথা স্মরণ করিবে, হয় ত কোন সহৃদয় মগধবাসী মাতৃহীন, বন্ধুষ্ঠান, আশ্রয়ীন গুপ্তকুলপুত্রের কথা স্মরণ করিয়া এক বিন্দু অশ্রুবিসর্জন করিবে, বন্ধু শত শত বর্ষ পরেও সেই বারিবিন্দু পরপারে আমার আত্মাকে তৃপ্ত করিবে । ফিরিয়া যাও, শতদ্রুর যুদ্ধে প্রত্যাবর্তন নাই, যে ফিরিতে চাহে তাঙ্গকে ফিরিয়া যাইতে দা ও—” “যুবরাজ, কি বলিতেছ ! ফিরিয়া যাইব, কেন ? BBBBBBSBBBB BB BBBB BB BBB BBS BBBS BB BBBB BBBBB করিতে প্রস্তুত হইয়াছ, আর আমি ফিরিয়া যাইব ? মনে করিয়াছ যে, মালব ললনা লাজ পুষ্প চন্দন বর্ষণ করিয়া আমাকে অভ্যর্থনা করিবে ? তাহা মতে, তাহারা সীমন্তে সিন্দুর দিয়া আমাকে অন্তঃপুরিকা করিয়া রাখিবে । যুবরাজ, মনে রাখিও এই কয়জনের অদৃষ্টচক্র একত্র গ্রথিত, যদি ভাগা-পরীক্ষা কর সকলেরই ভাগ্য পরীক্ষিত হইবে, যদি অদৃষ্টকেও উপহাস কর, সে বিদ্রপ সকলেরই ভাগ্যদেবতার পদ প্রান্তে পৌছিবে । যুবরাজ, যে ফিরিয়া যাইতে চাহে যাক, মালবে কেহ ফিরিবে না।” : অকস্মাৎ উচ্চহাস্তে বিস্তীর্ণ শতদ্রুবক্ষ কম্পিত হইয়া উঠিল, সমস্বরে অবশিষ্ট সপ্তজন বলিয়া উঠিল, “যে যাইতে চাহে সে যাক।” দূরে নদীতীরে সমবেত সহস্ৰ সহস্ৰ অশ্বারোহী তাহা শুনিতে পাইল, দশসহস্ৰ তরুণকণ্ঠে উচ্চারিত কলহাস্তে দিগন্ত মুখরিত হইয়া উঠিল, সহস্ৰ সহস্র কণ্ঠে উচ্চারিত হইল, “প্রত্যাবৰ্ত্তন নাই, যে যাইতে চাঙ্গে সে যাক ৷” যুবরাজের নয়নকোণ হইতে অশ্রুধারা প্রবাহিত হইল, তিনি আবেগরুদ্ধকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমাদের গৃহ আছে, আত্মীয়-স্বজন, পুত্র-কলত্র আছে, তোমরা কেন আমার সহিত শমনকে আলিঙ্গন করিতে যাইবে ?” আবার উচ্চহাস্তে শতদ্রুবক্ষ কম্পিত হইল, তরুণকণ্ঠে সমস্বরে উচ্চারিত হইল, “যাহা করিতে আসিয়াছি তাহা করিব, তোমার সহিত মরিতে আসিয়াছি, মরিব ।”
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।