পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ MAeeSz0SAAAAASAAAA মন্দ-মলকানিল মঙ্গরাজপুত্র গোবিন্দ গুপ্তের কণ্ঠস্বর শ্রবণ করিয়া কক্ষের সকলেই উঠিয়া দাড়াইলেন । স্কন্দ গুপ্ত পিতৃব্যের পদযুগল ধারণ করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন । অগ্নি গুপ্ত ও ভালুমিত্র কোষ হইতে অসি মুক্ত করিয়া সামরিক প্রথানুসারে অভিবাদন করিলেন । রান গুপ্ত র্তাঙ্গকে আলিঙ্গন করিবার জন্য অগ্রসর হইলেন, তখন গোবিন্দ গুপ্ত * দামোদর শম্মাকে দেখিতে না পাইয়া রাম গুপ্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তাত, পিতৃব্য কোথায়?” যুবরাজ ব্যস্ত হইয়া উঠিয়া দেখিলেন, প্রভূপরায়ণ বৃদ্ধ মন্ত্রী মূৰ্ছিত হুইয়া গৃহতলে পতিত হইয়াছেন। যুবরাজের আহবানে পরিচারকগণ শীতল জল ও বাজনী লইয়া কক্ষে প্রবেশ করিল। অল্প সময়ের মধ্যেই মহামন্ত্রীর চেতনা ফিরিল । শ্রান্তদেহ বৃদ্ধ চক্ষু মুদ্রিত করিয়াই জিজ্ঞাসা করিলেন, “গোবিন্দ, তুই সত্যই আসিয়াছিল, তবে ইহা স্বপ্ন নহে ?” গোবিন্দগুপ্ত বৃদ্ধের শীর্ণ হস্তদ্বয় ধারণ করিয়া কহিলেন, “না পিতৃবা, স্বপ্ন নহে সত্যই আমি আসিয়াছি।” “কল্য অHসলে শ্রম নিষ্ফল হইত । তোমার পিতার রাজ্য তুমি রক্ষা কর বৎস, বৃদ্ধের কার্য্য শেষ হইয়াছে।” যুদ্ধ এই বলিয়া মুহূৰ্ত্তমধ্যে নিদ্রিত হইয়া পড়িলেন। পরিচারকগণ কহিল যে, ছুই মাসের মধ্যে মহামন্ত্রী দামোদর শৰ্ম্ম শয্যা গ্ৰহণ করেন নাই । তখন গোবিন্দগুপ্ত, স্কন্দগুপ্ত, রামগুপ্ত অগ্নি গুপ্ত ও ভালুমিত্র কক্ষান্তরে উপবেশন করিয়া পরামর্শ করিতে আরম্ভ করিলেন। মহারাজপুত্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হইয়াছে?” রামগুপ্ত কছিলেন, “গুপ্তবংশের সৰ্ব্বনাশ g3り@