পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ చెbyసి কি করিতেছেন ?” “পূৰ্ব্বপরিচিত তামূলবিক্রেত্রীর সহিত আলাপ করিতেছেন।” “সেজন্ত রাজপথে গমনাগমন নিষিদ্ধ কেন ?” “মহানায়িকার আদেশ ।” মুহূৰ্ত্ত মধ্যে দেবধরের প্রশান্ত মুখমণ্ডল ক্রোধে রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, তিনি দ্রুতপদে শিবিকার দিকে অগ্রসর হইয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, “শিবিকা দুরে লইয়া যা ।” পূৰ্ব্বোক্ত প্রতীহার দেবধরের নিকটে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “মহাশয় চীৎকার করিতেছেন কেন, মহানায়িকা বিরক্ত হইবেন ।” “মহানায়িক বিরক্ত তহলে আমার বিন্দুমাত্র ও ক্ষতি নাই, দূরে লহরা যাইতে বল " "কেন ?” “পগরুদ্ধ আছে।” “তোমার ন্যায় ব্যক্তির আদেশে মহানায়িক মদনিকাদেবার শিবিক অপসারিত হয় না । মঙ্গল চাহ ত দূরে সরিয়া যাও।” ক্রোধে অন্ধ হইয়া দেবধর পুনরায় উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, “শিবিক দূরে লইয়া যা, পথ ছাড়িয়া দে।” পূৰ্ব্বোক্ত প্ৰতীহার বাঙ্গ করিয়া কহিল, “কাহার আদেশে ?” “মহানায়ক গুল্মাধিকৃত দেবধরের আদেশ ।” 麟 নাম শুনিয়া প্রতীহার হস্তত্রয় পশ্চাতে হটিয়া গেল ও অভিবাদন করিয়া কহিল, “দেব, অপূরাধ মার্জন করুন, আমি মহানায়িকাকে আপনার আগমন সংবাদ জ্ঞাপন করিতেছি ।” তাহার বিনীতভাব দেখিয়া দেবধরের ক্রোধ কিঞ্চিৎ প্রশমিত হইল, তিনি কহিলেন, “আগমন সংবাদ জ্ঞাপন করিতে হইবে না, পথ ছাড়িয়া দিতে বল ।” প্রতীঙ্গর ধীরে ধীরে শিবিকার দিকে অগ্রসর হইল। কিয়ৎক্ষণ পরে শিবিক হইতে ক্রুদ্ধস্বরে মদনিক বলিয়া উঠিল, “পথ ছাড়িয়া দিব না। আমার যতক্ষণ ইচ্ছা হইবে এইস্থলে বসিয়া থাকিব, যদি কাহারও সাপ্য থাকে আমাকে সরাইয়া দিক ।” দেবশ্বরের ক্রোধাগ্নি পুনৰ্ব্বার প্রজলিত হইল, তিনি তীব্রস্বরে কহিলেন, “যদি মঙ্গল চাহ তাহা হইলে শীঘ্ৰ পথ ছাড়িয়া দাও।” . షి షి
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।