পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ રે તે છે পদাঘাত করিল, সে আর্ন্তনাদ করিতে করিতে পড়িয়া গেল। তাঙ্গ দেখিয়া দেবধর কঠিলেন, “উতাকে ছাড়িয়া দাও।” হর্ষগুপ্ত কঠিলেন, "এতু সহজে নহে " "কি করিবে?” “দেখ " কুমারের আদেশে অশ্বারোহিগণ মনিকাকে তাঙ্গর শিবিকায় বন্ধন করিল এবং কশাঘাতে তাহার পুণ্ঠ জর্জরিত করিয়া তাহার বন্ধন মোচন । রিল । মৃতকল্প গণিকা মুক্তিলাভ করিয়া পলায়ন করিল। তখন দেবধর হর্ষ গুপ্তকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কুমার তুমি কোথায় যাইতেছিলে?” হর্ষ গুপ্ত কহিলেন, “প্রাসাদে, পথে তোমার বাহক বিপদের কথা জানাইল ।” “মদনিক কে তাঙ্গ জান ?” “জানি, ইন্দ্রলেখার সর্থা।” “আঞ্জিকার ঘটনা এই স্থানে শেষ ততবে না।” “নিশ্চিন্ত থাকিও, আমি গোবিন্দগুপ্তের পুল, দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পৌত্র। তুমি গৃহে ফিরিয়া যাও, কিন্তু একাকী রাজপথে বাহির হই ও না।” “কেন ?” “দাদা ফিরিয়া আমুন তখন বলিব, আজি পিতামহ পৰ্য্যন্ত নগরে নাই। দেবধর প্রতিজ্ঞা কর।” “কেন কুমার ভয় কি ?” “কি জানি, পাটলিপুত্র নগরকে বিশ্বাস নাই । মেস্থানে দিবালোকে প্রকাশ রাজপথে গণিকার অনুচর সাম্রাজ্যের মহানায়ককে আক্রমণ করে, সেস্থানে সৰ্ব্বদা সাবধান হওয়াই উচিত।” “ভাল প্রতিশ্রুত হইলাম, যুবরাজ না ফিরিলে একাকা নগরে বাহির হইব না।” দেবধর শিবিকারোহণে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিলেন। দিবসের তৃতীয় প্রহর শেষ হইলে একজন দাস সুনুপ্ত দেবধরকে জাগাহয় তাহাকে জানাইল যে মঙ্গপ্ৰতীহারের আদেশে জনৈক চেরোদ্ধরণিক তাহাকে বন্দী করিতে আসিয়াছে। দেবধর বিস্মিত হইয়া দাসকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “চেীরোদ্ধরণিক ? কী করিতে?” দাস, কঠিল, “ই। প্রভূ” । “কাহাকে ?” “আপনাকে ” “আমাকে ? তুমি ভুল শুনিয়াছ ” “দেব, চেীরোদ্ধরণিক কহিল মহাপ্রতীহারের আদেশে সে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।