পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ૨ જે ગ “দ্বিশতের অধিক ” “তাহাদিগকে প্রস্তুত হইয়া মণ্ডপে আসিতে আদেশ কর।” 酸 দাস অভিবাদন করিয়া প্রস্থান করিল, কিয়ংক্ষণ পরে সাদ্ধদ্বিশত বৰ্ম্মবৃত যোদ্ধার সহিত দেবধর মগুপে প্রবেশ করিলেন । মণ্ডপে সুখাসনের সম্মুখে নুতন মহা প্রতীঙ্গর ভবরুদ্র অপেক্ষা করিতেছিল। শোণ্ডিক পুত্র দেবধরকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আপনি কি মহানায়ক গুল্মাধিকৃত দেবধর ?” উত্তর হইল, "" “আপনার জন্য মহামুদ্রাঙ্কিত আদেশপত্ৰ আনিয়াছি।” # দেবধর অসি কোষমুক্ত করিলেন, সঙ্গে সঙ্গে সাদ্ধদ্বিশত অসি কোষমুক্ত হইল, ভবরুদ্র জনৈক দণ্ডধরের হস্ত হইতে রজতপাত্র গ্রহণ করিলেন। অসি ললাটে স্পর্শ করিয়া দেবধর পাত্র হইতে তালপত্রে লিখিত পত্র গ্রহণ করিলেন, তখন সাৰ্দ্ধদ্বিশত অনুচর রাজকীয় মুদ্র অভিবাদন করিল। পত্রে লিখিত ছিল ;– “মহানায়ক গুল্মাধিকৃত দেবধর মহানায়িক মদনিকাকে প্রকাগু রাজপথে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করিয়াছেন । মহাপ্রতীহার চন্দ্রধরের পুত্র দেবধরকে, আদেশ প্রাপ্তিমাত্র, বন্দী করিয়া কারাগারে আনয়ন করিবেন এবং আগামী কলা প্রভাতে বিচারার্থ সভামগুপে উপস্থিত করিবেন। স্বহস্তোয়ং মম মহারাজাধিরাজস্ত শ্ৰীকুমারগুপ্তস্ত । সম্বৎ ১২৬ ভাদ্রপদদিনে ৭ ” 鐵 আদেশপত্র পাঠ করিয়া দেবধরের মুখ রক্তবর্ণ হইল, কিয়ৎক্ষণ পরে প্রকৃতিস্থ হইয়া তিনি মহাপ্রতীহারকে কহিলেন, “মহাপ্রতীহার, মহারাজাধিরাজের আদেশ শিরোধার্য্য, কিন্তু আমি সাম্রাজ্যের মহানায়ক, বিচারের পূৰ্ব্বে আর্য্য সমুদ্রগুপ্তের নীতি অনুসারে কোনও মহানায়ক কারাগারে নিক্ষিপ্ত হইতে পারে না। আপনি প্রত্যাবর্তন করুন, আমি প্রভাতে মণ্ডপে উপস্থিত থাকিব ।” ভবরুদ্র কহিল, "পট্টমহাদেবীর