Q8 করুণা সকলে তাহার সহিত কক্ষ ত্যাগ করিলেন । সকলে রথারোহণে" প্রাসাদাভিমুখে যাত্রা করিলেন। প্রথম তোরণে প্রতীহারগণ জানাইল যে, সম্রাট সন্ধার পূৰ্ব্বে প্রাসাদ ত্যাগ করিয়া নগরে গমন করিয়াছেন। কোথায়—কাতার গৃহে গমন করিয়াছেন তাহ কেহ বলিতে পারিল না। রথ ফিরিণ, গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “ইন্দ্রলেখা নর্তকীর গুতে চল ।” রথচালক র্তাহার মুখের দিকে চাচিয়া রহিল, গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “কপোতিক সঙ্ঘারামের নিকটে ইন্দ্ৰলেখা নৰ্ত্তকীর আবাসে যাও ।” সে উত্তর না দিয়া রথ ফিরাইল । অৰ্দ্ধদও পরে বৃহৎ পাষাণ নিৰ্ম্মিত প্রাচীন কপোতিক সঙ্ঘারামের এক পাশ্বে রথ উপস্থিত হইল, গোবিন্দ গুপ্ত লম্ফ দিয়া রথ হইতে অবতরণ করলেন । সঙ্ঘারামের অপর পাশ্বে একটি ক্ষুদ্র দ্বিতল গুহ, গৃহে, অলিন্দে দাড়াইয় একটি রমণী জিজ্ঞাসা করিল, “কে, চন্দ্রসেন ? এতক্ষণ কি করিতেছিলে ?” গোবিন্দ গুপ্ত কহিলেন, “না, আমি চন্দ্রসেন নহি, সে পরে আসিতেছে।” “তুমি কে ?” “চিনিতে পারিবে কি ? আমি মন্দ-মলয়ানিল ।” “কি বলিলে ?” “ভিতরে গিয়া বলিতেছি ।” গোবিন্দগুপ্ত রথচালককে অপেক্ষ করিতে বলিয়া গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করিলেন, রমণীও অলিন্দ হইতে সরিয়া গেল । মহারাজপুত্র অন্ধকারগৃহে প্রবেশ করিয়া পরিচিতের ন্যায় সোপানাবলম্বনে দ্বিতলে উঠিয়া গেলেন। দ্বিতলে একটি ক্ষুদ্র কক্ষে একটি সামান্ত প্রদীপ জ্বলিতেছিল, গৃহতলে তিন, চারি জন পুরুষ উপবেশন করিয়াছিলেন, তাহাদিগের মধ্যে একজন গোবিন্দগুপ্তের পদশব্দ শুনিয়া চমকিত হইয় উঠিলেন। কক্ষে বহুমূল্য কাশ্মীরদেশীয় আস্তরণ বিস্তৃত ক্ষুদ্র মৃন্মযুদীপে সুগন্ধি তিল তৈল জলিতেছে, প্রাচীরে বহুমূল্য পরিজাত ও যুথিকার মালা বিলম্বিত রহিয়াছে। একটি সুন্দরী যুবতী স্নান দীপালোকে নৃত্য করিতেছে। গোবিন্দগুপ্ত কক্ষের দ্বারে দাড়াইয়া কোষমুক্ত তরবারী মস্তকে স্পর্শ করিয়া অভিবাদন করিলেন। র্যাহারা গৃহে উপবেশন করিয়৷
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।