পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ ఫి సిft তিতাকাঙ্ক্ষী । অদ্য ধরবংশ লুপ্ত হইবে । সামান্ত গণিকা, প্রকাগু রাজপথে, অযথা মাতৃনামে কলঙ্ক লেপন করিয়াছিল, সেইজন্য শতদ্রুতীরের বীরগণ তাঙ্গকে লাঞ্ছিত করিয়াছিল । সেই অপরাধে শতবর্ষের সেবা বিস্তুত হইয়া পরমেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ চন্দ্রধরের পুত্রকে কারাগারে নিক্ষেপ করিতে আদেশ করিয়াছেন । চন্দ্রগুপ্তের পুত্র সিপ্রা ও শুভ্ৰমতীতীরে চন্দ্রধরের কার্যা বিস্মৃত হইয়াছেন । গণিকার জামাতা গণিকার অনুরোধে চন্দ্রধরের পুত্রকে সীমান্ত দস্থ্য-তস্করের ন্যায় কারাগারে নিক্ষেপ করিতে আদেশ করিয়াছেন । বন্ধুগণ, উত্তরাপথে, ধরবংশের প্রয়োজন নাই, অদ্য চিরাগত প্রথানুসারে ধরবংশের অমলধবল যশ কলঙ্ক কালিম লেপন হইতে রক্ষা করিব । উৎসবের আয়োজন কর—” দেবধরের উক্তি শেষ হইবার পূৰ্ব্বে সশব্দে কক্ষের দ্বার মুক্ত হইল, কুমার হর্ষগুপ্ত দ্রুতপদে প্রবেশ করিয়া দেবধরকে বাহুপাশে আবদ্ধ করিলেন এবং আবেগরুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন, “দেবধর কি হইয়াছে, পিতৃদত্ত অঙ্গুরীয়ক ফিরাইয়া দিয়াছ কেন ?” হর্ষ গুপ্তকে আলিঙ্গন করিয়া দেবপর কহিলেন, “চর্ষ, ভাই, আজি আর কুমার বলিয়া তোমাকে বেদনা দিব না। অঙ্গুরীয়ক মঙ্গরাজ-পুত্রকে ফিরাইয়া দিও, আর কতিও চন্দ্রধরের পুত্র বংশগৌরব রক্ষার্থ চিরাগত প্রথার অনুসরণ করিয়াছে।” “কি হইয়াছে দেবধর ?” “ভাই, মদনিকণকে অপমান করিয়াছিলাম বলিয়া মহারাজ আমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করিতে আদেশ করিয়াছেন, মহাপ্রতাহার আমাকে বন্দী করিতে আসিয়াছিল, তাহাকে ফিরাইয়া দিয়াছি। কলা প্রভাতে সভামগুপে বারাঙ্গনাবমাননা অপরাধে আমার বিচার হইবে । সাম্রাজ্যের মহানায়কগণকে উপস্থিত হইতে অনুরোধ করিও।” “দেবধর, পিতামহ নাই—দাদা নাই—” “ক্ষতি কি ভাই ? আসি আছে। কল্য প্রভাতে আমার শব সম্রাটু সকাশে লইয়া যাইও । শপথ করিয়াছি প্রভাতে সভামগুপে উপস্থিত হইব, সত্যরক্ষা گیتی به