૨છે૭ করুণা করিও ” “দেবধর, দাদা সন্ধ্যার পূৰ্ব্বেই ফিরিবেন, ক্ষণকাল অপেক্ষা কর।” “কেন ? স্কন্দ কি করিবে ? ভাই আজি গণিকার কন্যা সাম্রাজ্যের পটুমহাদেবী, গণিকার জামাত গণিকার অপমান ক্ষমা করিবেন না, যোদ্ধার সম্বল অশ্রু নহে, অসি।” “দেবধর, মিনতি করি অপেক্ষা কর, মুহূৰ্ত্তকাল অপেক্ষা কর।” + হর্ষগুপ্ত দ্রুতপদে কক্ষ ত্যাগ করিলেন । সন্ধ্যার প্রাক্কালে চন্দ্রধরের বিশাল প্রাসাদ আলোক-মালায় সুশোভিত হইল, কুসুমদাম ও পুষ্পমালা মুশোভিত মণ্ডপে নৃত্যগীত আরম্ভ হইল, অনুচরগণ বেষ্টিত গৃহস্বামী আসন গ্রহণ করিলেন । এই সময়ে দুই খানি বস্ত্রাবৃত শিবিকা ধরবংশের প্রাসাদের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। প্রথম শিবিক হইতে এক অশীতিপর বৃদ্ধ ও দ্বিতীয় শিবিক হইতে এক ষোড়শ সুবর্তী অবতরণ করিয়া প্রাসাদে প্রবেশ করিলেন । তাহারা মণ্ডপে প্রবিষ্ট হইলে দেবধর চমকিত হইয়া আসন ত্যাগ করিলেন এবং রুদ্ধকণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন, “অমিয়—জয়ধবলদেব ?” বৃদ্ধ মহানায়ক জয়ধবল কন্যার হস্তধারণ করিয়া মুখাসনের নিকট আসিয়া কহিলেন, “দেবধর, তুমি চন্দ্রধরের পুত্র সেই জন্ত তোমাকে ক্ষমা করিলাম নতুবা প্রসিদ্ধ ধবলবংশের অপমান—” দেবধর বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “দেব-অপমান –?” “অমিয়ার কেশগুচ্ছ ফিরাইয়া দিয়াছ কেন ?” “দেব, পথে গণিকার মুখে —” “সমস্তই শুনিয়াছি। পুত্র, ধবলবংশের কন্যা গণিকা নহে, জয়ধবল প্রভাতে ধবলেশ্বর সাক্ষা করিয়া যে কন্যা সম্প্রদান করিয়াছে সে কন্যা সন্ধ্যাকালে ফিরাইয়া লুইতে পারে না।” “কিন্তু-দেব—” “পুত্র, চিরানুগত গৌরবোজ্জল প্রথা কেবল ধরবংশেই বিদিত নহে। চন্দ্রধরের পুত্র যাহা সহজসাধ্য বিবেচনা করে জয়ধবলের কণ্ঠাও তাহা অনায়াসে সম্পন্ন করিতে পারে।” “অমিয়—” অশ্রধারায় দেবধরের গণ্ডস্থল সিক্ত হইয়াছিল, আবেগে তাহার কণ্ঠরুদ্ধ
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।