</s 8 করুণা রাষ্ট্রনীতি অনুসারে ধরবংশের লাঞ্ছনকেতন সমূহ সম্রাটুসকাশে উপস্থিত করিয়াছি।” সুবরাজ সমবেত মহানায়ক-মণ্ডলীর হস্ত হইতে এক একটি দ্রব্য গ্রহণ করিয়৷ আর্যাপট্টের সম্মুখে রক্ষা করিতে লাগিলেন এবং বলিতে আরম্ভ করিলেন, “ণহারাজাধিরাজ, মঙ্গনায়ক দেবধরের পিতামঙ্গ মহানায়ক শশাঙ্কধর আর্য সমুদ্র গুপ্তের সহচর ছিলেন, সুদূর দাক্ষিণাতো শশাঙ্কধর পল্লব রাজধানী কাঞ্চীপুর অধিকার করিয়াছিলেন সেইজন্ত বিষ্ণুগোপের রত্নখচিত ধ্বজ তাঙ্গকে প্রদত্ত হইয়াছিল। আর্য সমুদ্র গুপ্ত যখন যমুনাতীরে সমবেত মাঙ্গীয় যাঙ্গনু-ষাহীয় শকরাজগণকে পরাজিত করিয়াছিলেন, তখন শশাঙ্কধর একাকী শকবৃহ ভেদ করিয়াছিলেন, সেইজন্ত আয্য সমুদ্র গুপ্ত র্তাঙ্গাকে স্বনামাঙ্কিত আসি প্রদান করিয়াছিলেন । পিতামহ যখন মালব আক্রমণ করিয়াছিলেন, তখন সীপ্রাতীরের ভাষণযুদ্ধে মহানায়ক চন্দ্ৰধর মহারাজাধিরাজের পাশ্বচর ছিলেন, আপনার অনুরোধে পিতামহ উজ্জয়িনী-রাজের মকরকেতন চন্দ্র ধরকে প্রদান করিয়াছিলেন, মহারাজাধিরাজ বোধ হয় তাহ বিস্তৃত হন নাই । শুভ্ৰামতীতারে সাম্রাজ্যের সেনা যখন পরাজিতপ্রায় পলায়নোন্মুখ তখন মহানায়ক চন্দ্রধর সহস্র মাগধসেনা লইয়া ভাগ্যলক্ষ্মীর গতি পরিবর্তিত করিয়াছিলেন, শুনিয়াছি সে যুদ্ধে আপনি স্বয়ং এবং মহারাজপুত্ৰ উপস্থিত ছিলেন। সেই যুদ্ধক্ষেত্রে পিতামহ স্বয়ং স্বহস্তে মুকুট হইতে এই মুক্তামালা গ্রহণ করিয়া মহানায়ক চন্দ্রধরের উষ্ণীষে, স্থাপন করিয়াছিলেন । শকরাষ্ট্র অধিকৃত হুইলে এই অশ্বপুচ্ছত্রয় শোভিত পতাকা শক রাজের নিকট হইতে স্বয়ং স্বহস্তে গ্রহণ করিয়াছিলেন বলিয়া পরম ভট্টারিক মহাদেবী ধ্রুবস্বামিনী ইহা মহানায়ক চন্দ্ৰধরকে প্রদান করিয়াছিলেন, তদবধি ইহা ধরবংশের লাঞ্ছন। মহানায়ক চন্দ্রধর জীবনের শেষদিনে আত্মবিসর্জন দিয়া মহারাজাধিরাজের জীবনরক্ষা করিয়াছিলেন, সম্রাটু বোধ হয় তাহা বিস্তৃত হন নাই। বিপাশাতীরে সহস্ৰ সেনা লইয়া চন্দ্রধরের পুত্র
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।