૨૭ করুণা রমণী “মন্দ-মলয়ানিল” নাম শুনিয়া অগ্রসর হইয়া আসিয়াছিল, কিন্তু গোবিন্দ গুপ্তের নাম শুনিয়া দশ হস্ত পিছাইয়া গেল। গোবিন্দগুপ্ত কুমার গুপ্তের হস্ত ধারণ করিয়া কঠিলেন, “দাদা, চল প্রাসাদে যাই ।” সম্রাট মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় ভ্রাতার সহিত গুহ হইতে বহির্গত হইয়া রথে আরোহণ করিলেন । পথের অপর পাশ্বে কপোকিক সঙ্ঘারামের প্রাচীরের নিম্নে আরও ছয় সাত খানি রথ দাড়াচয়াছিল, গোবিন্দ গুপ্ত রথে আরোহণ করিয়া সারথিকে প্রাসাদে যাইতে আদেশ করিলেন, রথ চলিল, তাঙ্গর পশ্চাতে অপর রথগুলিওঁ চলিতে আরম্ভ করিল। ' রথ গুলি চক্ষুর অন্তরাল হইলে এক ব্যক্তি কপোতিক সঙ্ঘারামের BBB DDB BBB BBB BBB DDBBB BBB BBB BBBS DYS লেখা তখন প্রাঙ্গণে দাড়াইল্প চীৎকার করিতেছিল, আগন্তুক গৃহে প্রবেশ করিয়। তাছার নিকটে গিয়া কঠিল, “দেবী, এইমাত্র সংবাদ পাইলাম যে, গোবিন্দ গুপ্ত আসিয়াছে এবং মঙ্গমস্থার গুহে গমন করিয়াছে । মামি সঙ্ঘারামের পাশ্বে লুক্কায়িত থাকিয়—বাবারে—” ইন্দ্ৰলেখা আর সহ্য করিতে ন পারিয়া সম্মার্জনী লইয়| আগন্তুককে প্রহার করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, এবং বলিতেছিল, “বড় সংবাদ লইয়া আসিয়াছিস্ , গোবিন্দগুপ্ত আসিয়াছে, গোবিন্দগুপ্ত আসিয়া যে আমার সর্বনাশ করিয়া গেল, এতক্ষণ কোথায় ছিলি— ?” আগস্তৃক দুই চারি বার সম্মার্জনীর আস্বাদগ্রহণ করিয়া উদ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। সে বড় আশা করিয়া আসিয়াছিল যে, সে যখন এমন প্রয়োজনীয় সংবাদ লইয়া আসিয়াছে, তখন নিশ্চয়ই বিশেষ পুরস্কার পাইবে । পুরস্কার পাইয়া সে অত্যন্ত বিস্মিত হইয়া গেল । ইন্দ্ৰলেখার দূত পলায়ন করিলে আর এক ব্যক্তি ইন্দ্ৰলেখার গৃহ হইতে বাহির হইল, সে ব্যক্তি গৃহের নিম্নতলে অন্ধকারে লুক্কায়িত ছিল । সে পথে বাহির হইয়া কপোতিক সঙ্ঘারাম মধ্যে প্রবেশ করিল এবং
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।