তৃতীয় পরিচ্ছেদ ৩১৭ গগন স্পর্শ করিল। তখন বৃদ্ধ জয়ধবল দামোদরশন্মাকে কহিলেন, “দামোদর, কন্যা জামাতা আহার করিয়াছি, বড় কৃষ্ণা ! কুমার হর্ষগুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, “মহানায়ক, ভূঙ্গার ভরিয়া জাহ্নবীবারি আনিব কি ?” বিকটভাস্তে শ্মশান কম্পিত করিয়া বুদ্ধ মঙ্গনায়ক কহিলেন, “অরে বালক, আজিকার তৃষ্ণ কি জাঙ্গবী-জলে মিটিবে: সমুদ্র শোষণ করিলেও নহে । রক্ত, তপ্ত, রক্তবর্ণ শোণিতৃ– তবে তৃষ্ণ মিটবে। যদি তোর পিতামহ থাকিত তাহা হইলে বুঝিত ধবলবংশের শোণিত-পিপাসা কেমন করিয়া সি প্রা ও শুভ্রমতী তীরে মিটিয়াছিল । দামোদর, বেখ্যার অপমান অপরাধে অভিমুক্ত হইয়াছিল বলিয়া জামাত আত্মবলি দিয়াছে, বাণুিক কষ্ট পতির অনুগমন করিয়াছে, শিয়রে দাড়াইয়া তাঙ্গাদিগের মৃত্যু-কাতর মুখে অসহ মন্ত্রণ দেখিয়াছি । এখন রক্ত – রক্ত --” মহামন্ত্রী ইঙ্গি ত করিলেন, জুই জন সেনা শৃঙ্খলাবদ্ধ ইন্দ্রলেখা ও মদনিকণকে লইয়া আসিল । একজন পরিচারক চারিটি নেপালদেশীয় ক্ষিপ্তপ্রায় কুকুর লইয়া আসিল । তাহা দেখিয়া কাপালিক জয়ধবলের নিকটে আসিয়া কহিল, “মহানায়ক, মদনিকার যথার্থ ব্যবস্থা হইয়াছে, কিন্তু ইন্দ্রলেখার ব্যবস্থা অদ্যবিধ ” জয়ধবল বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে?” কাপালিক বিকটহাস্ত করিয়া কহিল, -“আমি মহাযজ্ঞের পুরোহিত, অদ্য পুর্ণাহুতি দিতে আসিয়াছি। আমি কাপালিক, শুন দামোদরশয়া, শুন যুবরাজ, আমি সংসারত্যাগী, আঠাশক্তির সেবক । ইন্দ্ৰলেখাকে ভদ্রকষ্ঠা ও ভদ্রপত্নী মনে করিয়া যুধরাজের মা তার কেশ লইয়া মারণযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলাম। তখন জানিতাম যে অনন্ত কোন বিবাহিত যুবককে কামনা করে । মাতা আদেশ করিয়াছেন, সেই জন্য বলিতেছি, গুপ্তবংশ ংসপ্রয়াসে নারকী হরিবল বৃদ্ধ সম্রাটের মনোহরণের জন্য বেঙ্গাকন্ত। নিয়োগ করিয়াছে। প্লামি প্রতারিত হইয়া গুপ্তবংশের স্থির কুললক্ষ্মী চঞ্চলা করিয়াছি, শোণুিতে মেদিন প্লাবিত হইয়াছে, অসহায়ের আর্বনাদে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।