శ్రీవ8 করুণ মরিবি, তাহা যদি হইত তাহা হইলে ভানুমিত্র অনেকদিন পূৰ্ব্বে কি তাহা বুঝিলি না ? মানুষ সখন মরণকে ডাকে, মরণ তখন শত যোজন পিছাইয়া যায়। শুনিয়াছি পাটলিপুত্রে দেবধর মরিয়াছে, আর মরিয়াছিল বুড়া অগ্নি গুপ্ত। তাহার পর কি বলিতেছিলাম, ভুলিয়া গিয়াছি । শতদ্রুতারে স্কন্দ কি বলিয়াছিল জান ? বলিয়াছিল— পাটলিপুত্রে আমার নিমন্ত্রণ আছে। না—না— মঙ্গরাজপুত্র, আমি ভুলিয়া সে বাহুলীকায়, সেই রথের مضم' উপরে—” মরিত । এত রয়ুস হইল এখনও জাহ্নবাসৈকতে দাড়াইয়া মহারাজপুত্র দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিলেন এবং ধীরে ধীরে যুবরাজ স্কন গুপ্তকে কঠিলেন, “পুত্র, মথুরায় যখন সমস্ত শেষ হয় গেল, তখন আমরা কেন অবশিষ্ট রহিলাম ? মনে করিয়াছিলাম আর একবার চেষ্টা করিব ; সেই জন্ত পলায়ন করিয়াছিলাম । বৃথা গুপ্তবংশে কলঙ্কারোপণ করিয়াছি, চন্দ্রগুপ্তের পুত্র হইয়া যুদ্ধে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিয়াছি । যতদিন ভারতে গুপ্ত-বংশের নাম থাকিবে ততদিন গোবিন্দগুপ্তের পলায়ন স্মরণ করিয়া আর্যাবৰ্ত্তবাসী নিষ্ঠীবন ত্যাগ করিবে । স্কন্দ, সমস্তই শেষ,—বাহলীক, কপিশা ও নগরহার গিয়াছে, এতদিনে জানিলাম পুরুষপুর, তক্ষশিলা ও জালন্ধর নাই । বন্ধু, মনে করিয়াছিলাম আবার ফিরিয়া যাইব, সাম্রাজ্যের সেনা লইয়া গিয়া অবরুদ্ধ সেনাদল উদ্ধার করিব।” শ্বেত-বস্ত্রাবৃত যুবা আবার হাসিয়া উঠিল এবং কহিল, “ও বুড়া, তোকে বণিতে ভুলিয়া গিয়াছি, যে আমাকে মরিতে দেয় নাই, সে-ই আমাকে এখানে জানিয়াছে।” মহারাজ-পুত্র কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হহয়! কহিলেন, “ভানুমিত্র, চপলত পরিত্যাগ কর, সাম্রাজ্যের অবস্থা, দেশের অবস্থা কি বুঝিতে পারিতেছ না ? তুমি অগ্নিমিত্রের পুত্র, আমি তোমার পিতৃসখা, চিত্ত স্থির কর । আর্য্যাবর্তের ও আর্য,ধৰ্ম্মের শেষ দিন উপস্থিত, তুমি ক্ষত্রিয়, ক্ষত্রিধৰ্ম্ম বিশ্বত হইও না।
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।