পঞ্চম পরিচ্ছেদ ৩২৭ অন্তৰ্ব্বেদী জনশূন্য, কোথায় অশ্বারোহী ? আজি যদি দশসহস্ৰ অশ্বারোহী পাই তাহা হইলে হণরাজকে অন্তৰ্ব্বেদী হইতে দূর করিব, যদি পঞ্চদশ সহস্ৰ পাই তাঙ্গ হইলে আবার শতদ্রুতীরে ফিরিয়া যাইব—” পশ্চাতে বালুকাস্তপের অন্তরাল হইতে কে বলিয়া উঠিল, “আবশ্বক তইলে বিংশতি সঙ্গক্স দিব ।” o সকলে চমকিত হইয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, বালুকাস্তুপের অন্তরাল তইতে একজন বৰ্ম্মাবৃত যোদ্ধা তাহাদিগের নিকটে আসিয়া সামরিক প্রথায় অভিবাদন করিল। মঙ্গরাজ-পুত্র বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে ?” উত্তর হইল, “পরিচয় পরে দিব ।” তখন বন্ধুবৰ্ম্ম বলিয়া উঠিলেন, “আমি চিনিয়াছি, সাম্রাজ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তির এইরূপ কণ্ঠস্বর শুনি নাই । মঙ্গরাজ-পুত্র, মহানায়ক মঙ্গপ্রতীঙ্গর কৃষ্ণ গুপ্তদেব আপনার সম্মুখে দণ্ডায়মান ।” তখন গোবিন্দ গুপ্ত আবেগরুদ্ধকণ্ঠে কৃষ্ণগুপ্তের হস্তধারণ করিয়া কছিলেন, “কৃষ্ণ, সত্যই কি তুমি ? ভাগ হইলে এখন ও অাশা আছে ? তুমি না আসিলে, আমরা এতক্ষণ তুষানলে প্রবেশ করিতাম । শীঘ্ৰ বল, সেনা কোথায় ?” “শাস্ত হউন, নিকটেই সেনা আছে । আজি দুইদিন ধরিয়া সারা অস্তুৰ্ব্বেদীময় ভালুমিত্রকে খুজিয়া বেড়াইতেছি । মথুরা তইতে বাঙ্গর পলাইয়া আসিয়াছে তাঙ্গাদিগের মুখে সংবাদ পাইয়া বুঝিয়াছিলাম সমস্তই শেষ হইয়া গিয়াছে। আবার যে আপনাকে বা যুবরাজকে দেখিতে পাইব সে আশা ছিল না । জালন্ধর হইতে আমরা বিংশতি সহস্ৰ অশ্বারোহী লইয়া আসিয়াছিলাম, কান্তকুক্তে চক্রপালিত ও হর্ষগুপ্ত পঞ্চবিংশ সহস্ৰ অশ্বারোষ্ট্ৰী লষ্টয়া অপেক্ষা করিতেছে। মথুরার সংবাদ পাইয়া তাহারা স্তম্ভিত হইয়া গিয়াছে। তাহারা শুনিয়াছে যে মথুরায় মহারাজপুত্র ও যুবরাজভট্টারক নিহত হইয়াছেন। কান্তকুকে হরিবল মহোৎসব আরম্ভ করিয়া দিয়াছে, যুদ্ধে ভ্রাতা ও পুত্র নিহত হইয়াছে, দশসহস্র মাগধসেনা বিনষ্ট হইয়াছে, ইহা
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।