○ミ切ア করুণা শুনিয়া পরম নিশ্চিন্তমনে সম্রাটু উৎসৰস্ৰাতে অঙ্গ ঢালিয়া দিয়াছেন। চক্ৰপালিত সঙ্কল্প করিয়াছে সৌরাষ্ট্রে ফিরিয়া যাইবে, হর্ষ পিতৃশোকে আকুল হইয়াছে । আমি মনে করিতেছিলাম বানপ্রস্থ অবলম্বন করিব—” “কৃষ্ণ, পরিচয়ের সময় আছে । জয়োল্লাসে উন্মত্ত হইয়া দুদ্ধৰ্ষ আরাতি মহোদয়ের দিকে অগ্রসর হইতেছে, অগ্ৰে তাহাদিগকে বাধা দিতে হইবে । তোমার সেনা কোথায়?” “একক্রোশ দূরে শিবিরে।” “শাস্ত্র আমাদিগকে সেই স্থানে লইয়া চল । কৃষ্ণ, তুমি স্বয়ং কান্ত কুক্ত নগরে যাও, নতুবা BB BBB BBB BS BB BBB BB BB S BBBBBB BBB সংবাদপ্রাপ্তিমাত্র শৃক রক্ষেত্রে আসিতে বলিও ।” উত্তর না দিয়া কৃষ্ণ গুপ্ত অগ্রসর হইলেন, গোবিন্দ গুপ্ত, স্কন্দগুপ্ত, বন্ধুবৰ্ম্মা ও ভাইমিত্র তাহার অনুসরণ করিলেন । সেই স্থান হইতে ক্ৰোশাধিকদূরে জাহ্নবীতীরে একটি ক্ষুদ্র আম্রকানন ছিল ; তাহার সম্মুখে একটি জীর্ণ দেবালয়ের উপরে দাড়াইয়া একজন খৰ্ব্বাকৃতি যুব চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিতেছিল, সে দূর হইতে এই পঞ্চককে অগ্রসর হইতে দেখিয়া মন্দির-শীর্ষ হইতে অবতরণ করিল এবং মুহূৰ্ত্ত পরে অশ্বারোহণে তাহাদিগের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল । তাহাকে অশ্বে আরোহণ করিতে দেখিয়া আম্রকণননমধ্যবৰ্ত্তী শিবির হইতে অনেকে বাহির হইয়। আসিয়াছিল। অশ্বারোহী আগন্তুক পঞ্চকের নিকটে আসিয়া সহসা বলিয়া উঠিল, “মহারাজ-পুত্রের জয়, যুবরাজ ভট্টারকের জয় ।” যাহারা শিবিরের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইয়াছিল তাহারা সে জয়ধ্বনি শুনিয়া তুমুল কোলাহল করিয়া উঠিল, তাহা শুনিয়া আম্রকানন হইতে শত শত সহস্র সহস্র সেনা বাহির হইয়া আসিল, বিংশতিসহস্র কণ্ঠে উচ্চারিত জয়ধ্বনিতে অস্তৰ্ব্বেদী কম্পিত হইল। আবেগরুদ্ধকণ্ঠে গোবিন্দগুপ্ত বলিরা উঠিলেন, “আৰ্য্যাবর্তে এখনও প্রাণ অাছে।” . সন্ধ্যাকালে বিংশতি সহস্র মুসজ্জিত অশ্বারোহী যখন আম্রকানন হইতে
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।