সপ্তম পরিচ্ছেদ ööፃ রঞ্জিত হইতে পারে না ?” “পারে বটে, কিন্তু কত, দিন থাকে ?” “তাহাকে একবার পরীক্ষা করিলে হইত না ?” “বুথ আশা, হৰ্ষ, আমার আয়ু পুণ হইয়া আসিয়াছে, আমাকে আর প্রলুব্ধ করি ও না । সে জীবিত থাকিলে মৃত্যুকালে আমাকে পরিত্যাগ করিতে পাবিত না ।” এই সময়ে দূরে অশ্বপদশব্দ শ্রত হইল। নিবিড় বনমধ্যে ক্লান্ত, রণশ্রান্ত পঞ্চশত অশ্বারোহী বৃক্ষতলে বিশাম করিতেছিল, তাঙ্গরা শব্দ শুনিয়া সজ্জিত হইয়া দাড়াইল । কিয়ংক্ষণ পরে একজন অশ্বারোক্টা আসিয়া হর্ষ গুপ্তকে কহিল, “দেব, চূণসেন আমাদিগের সন্ধান পাইয়াছে এবং চারিদিক হইতে ঘিরিয়া ফেলিয়াছে।” বুদ্ধ গোবিন্দ গুপ্ত ভূমিতে শুষ্ক পত্রের শয্যা রচনা করিয়া বিশ্রাম করিতেছিলেন, তিনি সংবাদ শুনিয়া বলিয়া উঠিলেন, “হয়, আর না । তৃণ-যুদ্ধ অন্ঠই শেষ করিব । ইহাকে জিজ্ঞাসা কর নিকটে কি কোন পৰ্ব্বত আছে ?” হৰ্ষ গুপ্ত পিতার শয্যাপাশ্ব ত্যাগ করিয়া অশ্বারোক্তাগণের নিকট গমন করিলেন এবং কিয়ংক্ষণ পরে ফিরিয়া আসিয়া কঠিলেন, "নিকটে পৰ্ব্বত নাই বটে ; তবে শিলাস্তম্ভবেষ্টিত একটা বৌদ্ধস্তুপ আছে।” গোবিন্দ গুপ্ত উৎসুক হুইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কত দূর ?” একজন অশ্বারোহী কহিল, “অদ্ধক্রোশও হইবে না।” “তবে শাস্ত্র সেই স্থানে চল, যদি মরিতে হয় শক্রসেনা ধ্বংস করিয়া মরিব । সাম্রাজ্যের সেনার শেষ গুল্ম, লক্ষের অবশিষ্ট্র পুঞ্চশত যপন মরিবে তখন যদি সহস্ৰ চূণ শমন-সদনে না যায় তাহা হইলে যাহারা আমাদের পূৰ্ব্বে গিয়াছে তাহারা কি বলিবে ?” পঞ্চশত অশ্বারোহী রক্তবর্ণ পাষাণ-নিৰ্ম্মিত স্থপমধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিল, স্তুপের তোরণে তোরণে রাশি রাশি বৃক্ষকাও দিয়া প্রাকার নিন্মাণ করিল এবং আত্মরক্ষার জন্ত প্রস্তুত হইল। স্তুপ বিশালকায়, তাহার চারিদিকেম্পন্নুষ্ঠির্ণবৃথি, তাহাতে অনায়াসে সহস্ৰ অশ্বারোহী
পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।